নিজস্ব প্রতিবেদক :-ফরিদপুর শহরে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে সাতটায় কুঠিবাড়ি কমলাপুর চাঁদমারী এলাকার ফরিদপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঈদগা ময়দানে রাজনীতিক, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ নামাজ আদায় করবেন
প্রতিকূল আবহাওয়া থাকলে চকবাজার জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জেলায় মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এসকে আকরামুল হক জানান, ঈদুল ফিতরের নামাজ পরিচালনা করবেন চকবাজার জামে মসজিদের প্রধান ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ এনামুল হাসান।
জেলা পরিষদ ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাতে মুসল্লিদের ঈদের শুভেচ্ছা জানাবেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মোঃ আলীমুজ্জামান ও ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস।
শহরের ২৩টি মসজিদের পাশাপাশি জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন ঈদগাহ ময়দান ও এলাকায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ঈদের শুভেচ্ছা সম্বলিত ঈদ কার্ড প্রদান করেছেন।
ফরিদপুর জেলা পরিষদ জামাতের মাঠ প্রস্তুত করেছে যেখানে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবের সাথে নামাজ আদায় করবেন।
ফরিদপুর পৌরসভা সাত রঙের পতাকা দিয়ে শহরের রাস্তা-ঘাট ও রোড ডিভাইডারকে সুন্দর ও সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
ফরিদপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ১৪০টি মসজিদের ইমামদের প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
ঈদের দিন যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জামাতসহ বিভিন্ন স্থানে সতর্ক থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঈদগাহ ময়দানে স্বাস্থ্যসেবা দিতে সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে শিশু পরিবার, বধির ও মূক বিদ্যালয়, জেলা কারাগার, হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে।
এদিকে ঈদকে সামনে রেখে জেলার সরকারি ও আধা-সরকারি অফিসগুলোর প্রধান ভবনগুলো ইতিমধ্যে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
পবিত্র দিনে জেলার মুসলিম সম্প্রদায় তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বিদেহী আত্মার চির শান্তি এবং দেশ, এর জনগণ, মুসলিম উম্মাহ এবং সমগ্র মানবতার অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করবে।