• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
সুপারসনিক গতিতে ছুটছে বিজ্ঞান ভ্যাকসিনের পেছনে

করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য বিশ্বে ছোট-বড় অনেক দেশই চেষ্ট করে যাচ্ছে। তবে ডাব্লিউএইচওর গত ৩০ মের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, করোনার অন্তত ১০টি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ইভলুয়েশন বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর্যায়ে আছে। এ ছাড়া আরো অন্তত ১২১টি সম্ভাব্য টিকা নিয়ে ‘প্রি-ক্লিনিক্যাল’ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের স্কুল অব মেডিসিনের সেন্টার ফর ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্টর এপিডেমিওলজিস্ট ডক্টর দিলরুবা নাসরিন গণমাধ্যমকে আশার কথা শুনিয়ে বলেন, আমি যদি খুব আশাবাদী হয়ে বলতে পারতাম যে আগামী মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন চলে আসবে, তাহলে আমার চেয়ে খুশি কেউ হতো না। বাস্তবতা হলো, কভিড-১৯-এর টিকা এ মুহূর্তে আমাদের হাতে নেই। কিন্তু বিজ্ঞানকে আমি ভীষণভাবে তারিফ করি। বিজ্ঞান সুপারসনিক গতিতে ছুটছে ভ্যাকসিনের পেছনে। এখন পর্যন্ত অন্তত ২২৪টি ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে।

অন্তত ছয়টি ভ্যাকসিন মানুষের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর্যায়ে চলে এসেছে বলে জানান ডক্টর দিলরুবা। তিনি বলেন, এর মধ্যে তিনটি একেবারে ‘ইউনিক’। সেগুলো খুবই ভালোভাবে কাজ করছে।

এ সময় তিনি বাংলাদেশের কোনা পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে বলেন, হার্ড ইমিউনিটি পাওয়ার বাস্তবসম্মত একমাত্র উপায় হচ্ছে ভ্যাকসিন। সেটি আবিষ্কার ও প্রয়োগের আগ পর্যন্ত সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে আছে। এ জন্যই ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জের মতো বড় শহরগুলো ‘স্ট্রিক্ট লকডাউন’ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ডক্টর দিলরুবা নাসরিন বলেন, বাইরে ঘুরে আক্রান্ত হয়ে হার্ড ইমিউনিটি পাওয়ার চেষ্টার ফল অনেক কঠিন হতে পারে। পুরো জনগোষ্ঠীকে আক্রান্ত হতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। আবার একদিকে প্রচুর মানুষ একসঙ্গে সংক্রমিত হওয়ার কারণে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা, অন্যদিকে অনেক মানুষের মৃত্যুও হতে পারে, যেটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

ডিসেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« নভেম্বর    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।