এখনও চালু রয়েছে পঞ্চায়েত প্রথা
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের বৈলাজান গ্রামে ঈদ উল আজহা উপলক্ষে দেশের বৃহত্তর কোরবানীর মাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায় বৈলাজান মধ্য পাড়া কোরবানীর মাঠটি দুটি ঈদগাহ ও ৫টি মসজিদ সমাজ নিয়ে গঠিত। কোরবানীর সমাজের এ বছর ১৭১টি গরু ও ৯৫ টি খাসী এবং কয়েকটি ভেড়া কোরবানী করা হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় বৈলাজান কোরবানীর মাঠে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় কোরবানীর পশুর জবাই, মাংস তৈরির কাজ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ উপলক্ষে কোরবানীর মাঠে বিরাজ করে আনন্দ ঘন পরিবেশ।
যার যার কোরবানীকৃত পশুর মাংস বানাতে নিজেরাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মাঠে এক পাশে বসে দোকান। ছোট ছেলে মেয়েরা আনন্দ উল্লাস করে থাকে। এ কোরবানীর মাঠের রয়েছে এক ঐতিহ্য। এখানে কোরবানীর পশু জবাই করার পর তা তিন ভাগের একভাগ মাংস জমা রাখতে হয়। যেখানে জমা রাখা হয় তাকে বলা হয় পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতে দায়িত্বে থাকা সেচ্ছাসেবীরা কোরবানী সমাজের ১৪২০ টি খানার মধ্যে তা সমান হারে বন্টন করে যার যার বাড়ীতে পৌচ্ছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে।
পঞ্চায়েত এর দায়িত্বে থাকা মো. হারুন অর রশিদ দুলাল ও নুরুল ইসলাম নূরু বলেন, আমাদের এ কোরবানীর মাঠ কবে থেকে শুরু হয়েছে তা আমরা বলতে পারবো না। আমার চাচা ১১৬ বছর বয়সে মারা গেছে তিনিও বলে যেতে পারে নাই।
এ ব্যাপারে পুটিজানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ময়েজ উদ্দিন তরফদার বলেন, এই কোরবানীর মাঠে আমাদের বাপ দাদারাও কোরবানী করেছে। এটি আমাদের ভ্রার্ততের বন্ধনকে সুদৃর করে। এটি আমাদের গ্রামের একটি ঐতিহ্য।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি আলহাজ্ব আবু ইউসুব বলেন, আমরা যারা এলাকার বাহিরে থাকি কোরবানীর ঈদে গ্রামে অাসি তারা সকলে মিলে এক সাথে কোরবানী করে থাকি। সকলের সাথে দেখা হয় কৌসুল বিনিময় করি এটি খুব ভাল লাগে।