• ঢাকা
  • রবিবার, ১লা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
মধুমতি নদী ভাঙ্গনে মাদ্রাসা ছাত্রদের বিশেষ মোনাজাত, ভয়াবহ ভাঙ্গনে ৫ গ্রামের মানুষ

সালেহীন সোয়াদ, মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের ৫ গ্রামের মানুষ মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। গয়েশপুর , বকসিপুর , জারজরনগর, বিজয় নগর, চরকুসুন্দি গ্রামে ইতিমধ্যে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙ্গন। নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে জন্মস্থান আর বিভিন্ন স্থাপনাকে রক্ষা করতে করছেন বিশেষ মোনাজাত। ভাঙ্গনের হাত থেকে কোন প্রকার প্রতিকার না পেয়ে গতকাল বিকালেএলাকাবাসি স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে বিশেষ মোনাজাতের ব্যবস্থা করে।
মোনাজাত পরিচালনা করেন গয়েশপুর মুসলীহুল উম্মাহ্ কওমী মাদ্রাসার মাওলানা ইয়াসির আরাফাত। এতে অংশ নেন গয়েশপুর মুসলীহুল উম্মাহ্ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ ভাঙ্গন কবলিত ৫ গ্রামের কয়েকশত মানুষ।
মোনাজাতে অংশ নিয়ে গয়েশপুর মুসলীহুল উম্মাহ্ কওমী মাদ্রাসার তাওহীদুল ইসলাম বলেন, নদীর পানি কমার সাথে সাথে প্রায় ১৫দিন ধরে নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে এত করে প্রতিদিনই কৃষি জমি ভেঙ্গে পড়েছে। ভাঙ্গন ঝুকিতে রয়েছে বনায়নের জমি, বাড়ি, স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদ।
মোঃ আকবর জানান, ইতিমধ্যে ওই গ্রামগুলোর ২০টি বাড়ি ও অনেক কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে দুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি হাই স্কুল, ৭টি মসজিদ, ১টি মাদ্রাসাসহ অসংখ্য স্থাপনা। এলাকাবাসি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে নদী ভাঙ্গনরোধে বাঁধ নির্মানের জোর দাবি জানিয়ে আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যপারে কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি এই গ্রামগুলো ও কৃষিজমি এবং ঘরবাড়ী মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো রক্ষার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযেগ করেছি।
নদী ভাঙ্গনরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফরিদপুর জেলা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সন্তোষ কর্মকার জানান আমরা এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করেছি।

সালেহীন সোয়াদ
মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
তাং-৩১/১০/২৪

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

ডিসেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« নভেম্বর    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।