বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৮টায়। বিশাল এই ঈদ জামাতে ইমামতি করেন, মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি হাফেজ মওলানা মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এখানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতাসহ সাধারণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নগরীর কাদিরগঞ্জ জামে মসজিদে ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন। রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা নামাজ আদায় করেন বাসায়। রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল নামাজ আদায় করেন কালেক্টরেট জামে মসজিদে।
রাজশাহীতে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) মসজিদে। তবে রাজশাহী মহানগরের ২৩৯টি ও জেলার নয়টি উপজেলার শতাধিক মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে। তবে বেশিরভাগ স্থানেই সকাল ৮টায় নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার রাজশাহীর কোনো ঈদগাহে বা খোলা স্থানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। সবাই বাড়ি থেকে অজু করে মুখে মাস্ক পরে নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে গিয়ে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া করোনার কারণে ঈদ জামাত শেষে কোলাকুলি ও হাত মেলোনা থেকে বিরত থাকেন।য়া হয়েছে দেশ ও জাতির স্বার্থে সম্প্রীতি এবং সৌহার্দ্য রক্ষার ডাক। আহ্বান জানানো হয়েছে সন্ত্রাসবাদ পরিহারের। পৃথিবীর সবখানে মুসলিম উম্মাহর শান্তির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়েছে।