প্রাণ নাশের অপচেষ্টা
চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ঃ–
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের পূর্বপাশের বসতি আফছার মোল্যার ছোট স্ত্রী ছাহেরা বেগম (৪৮) ও তার গর্ভজাত মেয়ে কাকলী আক্তার (২৫) মিলে একই পরিবারের সতাই মা সুফিয়া বেগম (৫৫) কে একা ঘরে আটকিয়ে প্রান
নাশের উদ্দেশ্যে এলোপাথারী আঘাতের পর আঘাত করে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৯ জুন সন্ধায় আফছার মোল্যার বড় স্ত্রী সুফিয়া বেগম ঘরে একা অবস্থান করার সুযোগে সতীন ও তার পাগলী মেয়ে মিলে এ ঘটনা
ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। সুফিয়া বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পিয়ন পদে চাকুরী করেন। ঘটনার সময় প্রতিবেশীরা চিৎকারের আওয়াজ শুনে পাগলী মা-মেয়ের কবল থেকে আহত সুফিয়া বেগমকে উদ্ধার করে চরভদ্রাসন
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসাধীন রেখেছেন।
এ ঘটনার পর ওই রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সুফিয়া বেগমকে পরিদর্শন করেছেন এবং সুস্থ্যতার পর পারিবারিক নিরাপত্তা রক্ষার ব্যপারে তাকে আইনগত অবস্থান নেওয়ার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন থানা ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়ারুল ইসলাম জানান, “আহত পরিবারের কেউ এখনো থানায় কোনো
অভিযোগ করেন নাই, অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।
চিকিৎসাধীন সুফিয়া বেগম জানায়, একই বাড়ীর একটি ঘরে সতাই পরিবার ও আরেক ঘরে সুফিয়া বেগম বসবাস করেন। ঘটনার দিন সন্ধায় সতিন ছাহেরা বেগম ও তার মেয়ে কাকলী আক্তার তাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকী দিচ্ছিল। তাই
সুফিয়া বেগম ঘরের দরজা চেপে ধরে পৃথক ঘরে অবস্থান করছিল। কিন্ত সতাই মা মেয়ে মিলে পেশী শক্তির জোরে ঘরের দরজা খুলে ঢোকার পর তারা লোহার শাবল ও কাঠ
দিয়ে সুফিয়া বেগমকে এলোপাথারী আঘাত করতে থাকে। এ সময় সুফিয়া বেগমের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এ হামলায় সুফিয়া বেগমের মাথা, ঘাড় ও কাধ সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম হয়।
বৃহস্পতিবার আহত সুফিয়া বেগমের স্বামী আফছার মোল্যাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, “এটা আমার পারিবারিক বিবাদ, তাই নিজেরা বসেমেলে এ বিবাদ সেরে নিব”।
এলাকাবাসী জানায়, সম্প্রতী, উক্ত পাগলী মেয়ে সময়ে অসময়ে
বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে হানা দিচ্ছে। তার উচ্ছশৃঙ্খল ও উদ্ভট চলাফেরা রকারনে এলাকার পরিবেশ সে অশান্ত করে তোলেছে। তাই এলাকাবাসী যুবতীপাগলীর অশালীন ও উদ্ভট চলাফেরা রোধকল্পে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী কামনা করেছেন।