স্টাফ রিপোর্টার :
অবশেষে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের “কাটাগড় হাট” বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ দরদাতা মো. আকরাম হোসেনকে। মঙ্গলবার সকালে বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মারিয়া হক উপস্থিত থেকে হাটটি বুঝিয়ে দেন। এসময় রুপাপাত ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজিজার রহমান মোল্লা, কাটাগড় বাজার মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু মিয়াসহ ব্যাবসায়ীবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে একশ ছয় শতাংশ অধিক মুল্যে ইজারা নিয়েও খাজনা আদায় করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। ওই ঠিকাদারের অভিযোগ, রুপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের লোকজন নানাভাবে খাজনা আদায়ে বাঁধার সৃষ্টি করছিলো।
ঠিকাদার প্রতিনিধি মো. সোহাগ জানান, গত ১৮ মে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ছয় লাখ ৮২ হাজার টাকায় কাটাগড় হাটের ইজারা পান মো. আকরাম হোসেন। ওই হাটের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূূল্য ছিলো ছয় হাজার তিনশ সাত চল্লিশ টাকা। ঠিকাদার মো. আকরাম হোসেন ছয় লাখ ৮২ হাজার টাকা দরপত্র প্রদান করে সর্বোচ্চ দরদাতা বিবেচিত হন।
ঠিকাদার প্রতিনিধির অভিযোগ, ইজারা পাওয়ার পর খাজনা তুলতে গেলে রুপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আজিজার রহমান মোল্লার খাজনা আদায়ে বাঁধা সৃষ্টি করেন। ফলে অদ্যবদি খাজনা তোলা সম্ভব হয়নি। এতে ঠিকাদার পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন বলে দাবী করেন তিনি।
ঠিকাদার প্রতিনিধি আরো জানান, হঁাট বুঝিয়ে দেয়ার সময় স্থানীয়দের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে মূল্য তালিকা না আসা পর্যন্ত উপস্থিত সকলের সিদ্ধান্তক্রমে আমদানী পন্যের উপরে খাজনা আদায় বন্ধ রেখে, অনুমোদিত মূল্য তালিকা না পাওয়া পর্যন্ত অন্যান্য পন্যের উপর নুন্যতম মূল্য খাজনা স্বরুপ আদায় ও বিশেষ করে পেঁয়াজ বস্তা প্রতি ১০ টাকা হারে খাজনা সংগ্রহের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সে মোতাবেক খাজনা গ্রহন করা হচ্ছে।
ঠিকাদার প্রতিনিধি দাবী করেন, কম মূল্য খাজনা গ্রহন করায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কাটাগড়ের পাশের সহস্রইল হাটেও, এতে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দাবী কলে অবিলম্বে মুল্যতালিকা পেতে জেলা প্রশাসকের নিকট দাবী জানান।
এ প্রসঙ্গে বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মারিয়া হক বলেন, সর্বোচ্চ দরদাতা বিবেচিত হওয়ায় ঠিকাদার মো. আকরাম হোসেনকে হাটটি বুঝিয়ে দেয়ো হয়েছে। খাজনা আদায়ের মূল্য তালিকা তৈরি করেও তা অনুমোদনের জন্যে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাাঠয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়। সেই মূল্য তালিকা আসার পর সে মোতাবেক খাজনা আদায় করবে হাট ইজারা পাওয়া ঠিকাদার। #