নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে মায়ের বুকের দুধ। শুধু শিশুদের ক্ষেত্রে নয়, দুর্বল প্রাপ্তবয়স্কদেরও করোনা চিকিৎসায় সহায়তা করবে এ দুধ।
বুধবার এক প্রতিবেদনে গালফ নিউজ জানায়, বুকের দুধের কারণেই আক্রান্ত মায়ের কাছ থেকে শিশুর মধ্যে করোনা সংক্রমণ হচ্ছে না বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
এর ফলে বুকের দুধে করোনা প্রতিরোধী শক্তিশালী উপাদান আছে বলে গবেষকদের বিশ্বাস।
আমস্টারডাম ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা করোনা আক্রান্ত নারীদের বুকের দুধে একাধিক অ্যান্টিবডির উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছেন।
নেদারল্যান্ডসের আটরেচট ইউনিভার্সিটির গবেষক অধ্যাপক আলবার্ট হেক বলেন, ‘মায়ের শরীর করোনা নিষ্ক্রিয় করতে অ্যান্টিবডি তৈরি করছে। ’ এ জন্য তিনি বুকের দুধের প্রতি গুরুত্ব দেন।
তিনি বলেন, ‘বুকের দুধে আমরা শক্তিশালী অ্যান্টিবডি পেয়েছি। যেটি শিশুদের করোনা থেকে সুরক্ষা দিচ্ছে। ’
ডাচ গবেষকেরা দেখেছেন যে, এই শক্তিশালী অ্যান্টিবডি পাস্তুরায়নের কারণে সহজে ধ্বংস হয় না। এর মানে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ‘ফ্লেভার্ড আইস কিউবস’ হিসেবে বুকের দুধ নিরাপদে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আলবার্ট হেক বলেন, ‘এ দুধ শুধু শিশুদের জন্যই নয়, দুর্বল প্রাপ্তবয়স্কের করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। ’
নিউইয়র্কের সিটির ইকাহন স্কুল অব মেডিসিনের মাতৃদুগ্ধ ইমিউনোলজিস্ট ও সহকারী অধ্যাপক রেবেকা পাওয়েলও বলছেন, ‘বুকের দুধ করোনা প্রতিরোধে অধিক টেকসই হতে পারে।
প্ল্যাজমা থেরাপির মতো বুকের দুধকেও ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা। করোনা থেকে সেরে উঠা ব্যক্তির ব্লাড প্লাজমা স্থানান্তরের মাধ্যমে আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হয়। প্লাজমা থেকে আরও বেশি টেকসই এবং করোনা প্রতিরোধে কার্যকর বুকের দুধ, এমনটি অভিমত তাদের।