পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির এক চিকিৎসক এই বিভীষিকা সইতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন।
তিনি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে আবার সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন। তবুও জীবনের নির্মম বাস্তবতা তাকে বাঁচতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেনি। তিনি আত্মহত্যা করে জীবনের চরমতম অভিজ্ঞতাকে বিদায় জানালেন।
মার্কিন ওই চিকিৎসকের নাম ডা. লরনা ব্রিন। এ ব্যাপারে বিবিসি জানায়, নিউইয়র্ক সিটির বাসিন্দা ডা. লরনা ম্যানহাটানের নিউইয়র্ক-প্রেসবাইটেরিয়ান অ্যালেন হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ডিরেক্টর ছিলেন।
গত রোববার ওই চিকিৎসক নিজের শরীরে আঘাত করে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার সময় তিনি নিজের পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন।
তার বাবা ফিলিপ ব্রিনও একজন চিকিৎসক। তিনি মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন , ‘সে তার কাজটি করে যাচ্ছিল এবং এটিই তাকে হত্যা করেছে।’
তার মেয়ের কোনও ধরনের মানসিক অসুস্থতার ইতিহাস ছিল না বলেও তিনি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, হাসপাতালে কাজ করতে করতে তার মেয়েও করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল। পরে সুস্থ হয়ে দেড় সপ্তাহ পর আবার কাজে ফিরে গিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে আবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিল। সে সময় লরনা তাকে বলছিলেন, হাসপাতালে কীভাবে মানুষ অ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগেই করোনায় মারা যাচ্ছিল। ম্যানহাটনের ২০০ শয্যার হাসপাতালটিতে বহু সংখ্যক মানুষ মারা গেছে করোনায়।
ফিলিপ ব্রিন বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে একেবারে খাদের সামনে গিয়ে লড়ছিল সে। আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, সে একজন বীর হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।’
তার বাবা জানান, শেষের দিকে তার মেয়ে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। সম্ভবত চোখের সামনে বহু মানুষের মৃত্যু তাকে প্রভাবিত করে থাকতে পারে বলে ওই চিকিৎসকের বাবার ধারণা।