• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
একজন নুরুল হুদার বিদায়ী সম্মাননা,কাদঁলেন ১৭৫ জন কন্যা

মাহবুব পিয়াল,১ নভেম্বর,ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি ঃমোহাম্মাদ নূরুল হুদা,একজন সরকারী কর্মকর্তা আর শিশু পরিবার বালিকাদের কাছে তিনি সকলের পিতা, একজন আদর্শ বাবা । বয়সে তরুন কিন্তু কর্মক্ষেত্রে তার দায়িত্ববোধ,দুরদর্শিতা ও ভালোবাসা তাকে শিশু পরিবার বালিকাদের কাছে এক মহৎপ্রাণ মানুষ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।গত তিন বছর কাজ করেছেন ফরিদপুর সরকারি শিশু পরিবার বালিকার সহকারী পরিচালক হিসেবে,বালিকাদের ক্যাম্পাসকে দৃষ্টি নন্দন করে সাজিয়েছেন। আধুনিক ও ডিজিটাল প্রদ্ধতির সবকিছু ব্যবহার করে লেখা পড়া থেকে শুরু করে শিশু পরিবার বালিকাদের মন মানুসিকতায় এনেছেন ব্যাপক পরিবর্তন।

মরোরম পরিবেশে ১৭৫ জন শিশু বেড়ে উঠছে। এখানে শিশুদের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় উন্নতমানের খাবার, পোশাক, সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন । শিশুদের সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠার জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে জানার জন্য “বঙ্গবন্ধু” কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও অত্যাধুনিক ডাইনিং হল, লাইব্রেরী, ইনডোর গেমস, টিভি রুম, মাল্টিপারপাস হল রুম, মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ ক্লাসরুম, কম্পিউটার ল্যাব, সিক রুম, জসিম মঞ্চ, অপেক্ষালয়, প্রেয়ার রুম, সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে নানাবিধ সুবিধার মধ্যে বেড়ে উঠা শিশুরা ভুলেই গেছে নিজেদের বাড়ির কথা। মনের আনন্দে পড়া-লেখার করছে তারা।
মোহাম্মাদ নূরুল হুদা’র বদলী জনিত কারনে গত রবিবার (৩১অক্টোবর) ছিল সরকারী শিশু পরিবার বালিকায় তার শেষ কর্মদিবস। বিকালে সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা)র হল রুমে এ উপলক্ষে বিদায় সম্মাননা আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির অংশ হিসাবে শিশু পরিবারের ১৭৫জন নিবাসী ফুলেল শুভেচ্ছা ও “আমাদের বাবা মোহাম্মদ নূরুল হুদা এর বিদায় বেলায় স্মৃতিচারণ” সম্বলিত একটি দেয়ালিয়াসহ র‌্যালী করে হল রুমে প্রবেশ করে। দেয়ালিয়াক তারা তাদের বাবকে নিয়ে নানা স্মৃৃতিচারন লিপিবদ্ধ করেন। এ সময় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বালিকারা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
এ সময় শিক্ষার্থীগণ বলেন,আমরা আমাদের বাবার আদর যতেœ ভিষন সুন্দর মনোরম একটি পরিবেশে খুব ভালো আছি এখানে। পড়া-লেখার পাশা-পাশি সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি আমরা, যা আমাদের পরিবারে পেতাম না। আমরা এতো ভালো আছি যে, এখান থেকে এখন আর বাড়িতে যেতে ইচ্ছে করে না। আমরা আমাদের বাবাকে কখনো ভুলবো না।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এ এস এম আলী আহসান। অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিদায়ী সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা)র সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ নূরুল হুদা।
অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা)র সদ্য যোগদানকৃত সহকারী পরিচালক তাসফিয়া তাছরীন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সায়েদুর রহমান মৃধা, বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাউছার আহমেদ, শিক্ষার্থী বিথী আক্তার, সুলতানা আক্তার, নাদিয়া আক্তার প্রমুখ। বিদায়ী বক্তব্যে মোহাম্মাদ নূরুল হুদা বলেন, সরকারি শিশু পরিবার বালিকার সহকারী পরিচালক হিসেবে আমি ১৭৫জন এতিম নিবাসীর দায়িত্বে ছিলাম। যাদের অভিভাবক রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের পক্ষে আমরা দেখভাল তাদের করে থাকি, তাদেরকে আমি নিজ সন্তানের মতোই দেখছি, তারাও আামকে বাবার মর্যাদা দিয়েছে। । আমি তাদেরকে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য যে যে সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার আমরা তা করে গেছি। তারা যাতে সুনাগরিক হিসাবে নিজেদেও গড়ে তুলতে পারে, তারা যাতে আলোকিত মানুষ হতে পারে, আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। আশাকরি এই ধারা অব্যহত থাকবে এবং সুনাগরিক হয়ে আগামীতে দেশের গুরুত্পুর্ণ পদে তারা কর্মরর্ত থেকে দেশ কে এগিয়ে নিবে ও মানুষের কল্যানে কাজ করে যাবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।