সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় বন্য শুকরের আক্রমণে ছয়জন আহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ৬ টায় উপজেলার রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের সেনের হাওলা
গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায়ই বন্য শুকর লোকালয়ে প্রবেশ
করে। বন বিভাগের ধারণা, খাবারের সন্ধানে লোকলয়ে আসে। আহতরা হলেন, উপজেলার সেনেরহাওলা গ্রামের আব্দুল গফুর মুন্সির দুই ছেলে রাজ্জাক মুন্সি (৭০), খবির মুন্সি (৫৫), চাঁনমিয়া দালালের ছেলে মধু দালাল (৫৫), কবির হাওলাদারের দুই ছেলে সুজাত (২৫), মোঃ হাসান (৩০) ও
চরকানকুনি গ্রামের জয়নাল ভদ্দরের ছেলে হারুন ভদ্দর (৪৫)। তাদের মধ্যে হাসান ও
সুজাত গুরুত্বর আহত হয়।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায়ই চরকানকুনি বন থেকে বন্য শুকর লোকলয়ে এসে
ফসলি জমি নষ্ট করে। একইভাবে বুধবার একটি বন্য শুকর বন থেকে রাজার
বাজার হয়ে সেনের হাওলা গ্রামের আলু ক্ষেতে প্রবেশ করে। এসময় ফসলি জমিতে থাকা কৃষক রাজ্জাক মুন্সির ওপর আক্রমণ চালায় শুকরটি। তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে পর্যায়ক্রমে আরও পাঁচজনের ওপর আক্রমণ করে। পরে
আহতদের উদ্ধার করে রাঙ্গাবালী ডায়াগনোস্টিক সেন্টার এবং স্থানীয়ভাবে
প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রাজার বাজারের বাসিন্দা রাহাত হাওলাদার বলেন, ‘শুকরের আক্রমণে হাসানের বাহাতের একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়। সুজাতের বা পা কামড়ে জখম করে।অন্যদের ওপরও আক্রমণ চালিয়ে আহত করে।’তিনি আরও বলেন, ‘প্রায়ই বন্য শুকরআলু খেতে লোকালয়ে আসে। এরআগে গত বছর পার্শ্ববর্তী গ্রামে লোকালয়ে এসে কয়েকজনকে কামড়ে আহত করেছিল।’এ ব্যাপারে বন বিভাগের রাঙ্গাবালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেনবলেন, ‘বন্য শুকর লোকালয়ে এসে লোকজনের ওপর আক্রমণের খবর পেয়েছি। আমরাখোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’ বন্য শুকর লোকালয় আসার কারণ জানতে চাইলে
তিনি বলেন, ‘ধারণা করছি, খাবারের খোঁজে হয়তো লোকলয়ে আসতে পারে।