নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতায় একটি সময়সীমা নির্ভুলতার সঙ্গে নির্দিষ্ট করা হচ্ছে, তা হলো ৩ নভেম্বর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায়ই জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগে একটি ভ্যাকসিন অনুমোদন পাবে। কিন্তু ট্রাম্পের আগেই চীন একটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিতে পারে।
চীনের ভ্যাকসিন তৈরিতে বহু বছর ধরে কাজ করা হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উদ্ভাবনী কর্মকর্তা ইয়েউ হি বলেছেন, চীনা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ট্রাম্পের আগেই একটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া। চীনের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ বা সিএনবিজি চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালগুলো সমাপ্তির কাছাকাছি এসে বর্তমানে চীনের নিয়ন্ত্রক সংস্থায় আবেদন জমা দিচ্ছে।
এরই মধ্যে অনেক চীনা নাগরিক অনুমোদনের অপেক্ষা না করে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সরকার কর্তৃক জরুরি অনুমোদনের আওতায় কয়েক লাখ মানুষকে সিএনবিজি টিকা দেয়া হয়েছে। দুই ডোজের এ ভ্যাকসিন পাওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে বহু সরকারি কর্মকর্তা ও ফার্মাসিউটিক্যাল এক্সিকিউটিভ অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
ইয়েউ হি বলেন, ভ্যাকসিন পাওয়া লোকেরা সাধারণত মধ্যম-স্তরের কর্মকর্তা; সহকারী-মন্ত্রী, মেয়র, সহকারী-মেয়র। পরিচালক স্তরে কমিউনিস্ট পার্টির শতাধিক ক্যাডার, সিএনবিজি ও তার মূল সংস্থা সিনোফার্মের সিইও, বোর্ড চেয়ারম্যান, ভাইস প্রেসিডেন্টসহ সব সিনিয়র এক্সিকিউটিভকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নাগরিকরা সম্পূর্ণ অনুমোদনের আগে এত বেশি চীনা নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেয়ার এ খবরে মর্মাহত হতে পারেন। হি বলেন, পশ্চিমারা এটাকে বিজ্ঞানবিরোধী হিসেবে বিবেচনা করবেন। তবে চীনে এটাকে খুব ইতিবাচকভাবে দেখা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্তাব্যক্তিদের ভ্যাকসিন নেয়ার বিষয়টি আস্থা প্রমাণের একটি উপায় হিসেবে কাজ করছে।
নিউ ইয়র্কার