মহামারীতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বেশির ভাগ দেশে এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে এর মধ্যেই অভিনব এক উপায় বের করেছে ইন্দোনেশিয়ার একটি কিন্ডারগার্টেন। দেশটির জাভা দ্বীপের কিন্ডারগার্টেনটি অস্থায়ী স্বচ্ছ বাক্সের মতো স্থাপনা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে পাঠদান চালু করেছে এবং সামাজিক দূরত্বের বাধা পেরিয়ে শিক্ষকদের বাড়িতে বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
জাভা প্রদেশের সেমারাং শহরের বেসরকারি পার্মাতা হাতি কিন্ডারগার্টেনটি ১৩৫ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করে। তাদের মধ্যে ভাগ ভাগ করে প্রতিদিন তারা ছয়জন শিক্ষার্থীকে শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের সুযোগ করে দিয়েছে, যা প্রতি দুই সপ্তাহে একবার শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জাভায় ইন্দোনেশিয়ার চতুর্থ সর্বাধিক কভিড-১৯ সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে এবং কেবল সেমারাংয়ে অন্তত ২৮৭ জন মারা গেছে। বাবা-মায়ের সহায়তায় শিশুরা প্লাস্টিকের শিট ব্যবহার করে তৈরি প্রতিরক্ষামূলক বাক্সের মধ্যে বসে তাদের শিখনের দিকনির্দেশনা গ্রহণ করে এবং প্রতিটা ক্লাস শেষে বক্সগুলো জীবাণুমুক্ত করা হয়।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিন্দারওয়াতি বলেছেন, আমাদের এই স্বচ্ছ বক্সটি স্বাস্থ্য প্রটোকলগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়ার প্রতিশ্রুতি। বিদ্যালয়ে আসা প্রত্যেকের মাস্ক, ফেস শিল্ড, গ্লাভস ব্যবহার করা এবং তাপমাত্রা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। এছাড়া শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর ঝুঁকি নিয়ে অস্বস্তিতে থাকা বাবা-মা জুম কলের মতো ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বাড়িতে বসে ক্লাসের বিষয়টি বেছে নিতে পারেন। শিখনের মধ্যে নাচ, গান ও পত্রিকা পড়া অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং কিন্ডারগার্টেনটি সামাজিক দূরত্বের জন্য বহনযোগ্য প্রতিরক্ষামূলক স্ক্রিনসহ শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠায়।
একজন শিক্ষার্থীর মা নিতা দ্বি নূরহায়াতি বলেন, বাবা-মা হিসেবে এ কার্যক্রমগুলোকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি, এতে আমাদের শিশুরা সীমিত আকারে হলেও তাদের শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করতে পারে।রয়টার্স