• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক তারাপদ স্যার করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন

ফাইল ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট :- ফরিদপুরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষ (তারাপদ স্যার) করোনায় আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেট আইসিইউ ইউনিটে শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের ইনর্চাজ ডা. অনন্ত বিশ্বাস জানান, দুই দিন যাবত তিনি এই ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আমরা স্যারের সুচিকিৎসার চেষ্টা করেছি। তিনি শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মারা যান।

তার মৃত্যতে গভীর শোক এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন, ফরিদপুর সদর আসনের সাংসদ খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মোঃ আলীমুজ্জামান (বিপিএম), ঢাকা ইউনিভার্সিটির অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ.কে আজাদ, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কবিরুল ইসলাম সিদ্দীকি, বিশিষ্ট কলামিস্ট আবু সাঈদ খান, সাংবাদিক গৌতম স্মৃতি সংসদের সভাপতি প্রফেসর আলতাফ হোসেন, ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স, মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজসহ বিশিষ্ট জনেরা।

ফিরে দেখা :-

শহীদ পরিবারের সন্তান জগদীশ চন্দ্র ঘোষ ১৯২৯ সালের ৬ আগস্ট মানিকগঞ্জের কাঞ্চনপুর গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তবে দাপ্তরিক শিক্ষানথিতে তার জন্ম তারিখ ১৯৩১ সালের ১ জানুয়ারি। বাবা শহীদ যোগেশ চন্দ্র ঘোষ, মা প্রফুল্ল বালা ঘোষের জ্যেষ্ঠ সন্তান তিনি। ফরিদপুর প্রবীণ হিতৈষি সংঘের তালিকায় জেলার সবচেয়ে প্রবীণতম এই শিক্ষাবিদকে সবাই শ্রদ্ধা জানান তারাপদ স্যার নামে।

১৯৭১ সালের ২ মে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের শিকার হয় তার পরিবার। ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুরে জমিদারবাড়ির সেদিনের হত্যাযঞ্জে যে ২৮ জন শহীদ হন তাদের মধ্যে ছিলেন তার পিতা যোগেশ চন্দ্র ঘোষ, ভাই গৌর গোপাল ঘোষ, কাকাতো ভাই বাবলু ঘোষ প্রমুখ।

ম্যাট্রিকুলেশন পাসের পর ১৯৫০ সালের দিকে জগদীশ চন্দ্র ঘোষ ডাক বিভাগের একটি ব্রাঞ্চ অফিসে পোস্টমাস্টার হিসেবে যোগ দেন। কিছুদিন পর চর নসিপুর প্রাইমারি স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন । ১৯৫৫ সালে অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ সময় প্রাইভেট ছাত্র হিসেবে এইচএসসি ও বিএ পাস করেন। ১৯৯৫ সালে ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অবসর নেন। ১৯৬৮ সাল থেকে প্রথমে পাকিস্তান অবজারভার ও পরে বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন প্রায় চার দশক।

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সবচেয়ে প্রবীণ সদস্য ও স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিভাবক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। পাশাপাশি তিনি ফরিদপুর টাউন থিয়েটারে একইভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন । ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি ফরিদপুর জেলা ইউনিটের শহীদ সাংবাদিক সামসুর রহমান স্বর্ণপদক লাভ করেন। ২০১৩ সালে তাকে গৌতম স্মৃতিপদক দেওয়া হয়। শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা, ক্রেস্ট, মেডেল, স্মারক ও মানপত্র।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।