পৃথিবী বিচিত্র। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রয়েছে বিচিত্র রহস্যময় অনেক তথ্য। এসব তথ্য প্রতিনিয়তিই তৈরি করে বিস্ময়। তেমনি বিচিত্র কিছু দেশ সম্পর্কে জানতে পাঠকদের জন্য ধারাবাহিক এই আয়োজন। আজ জানাব গ্রীনল্যান্ডের গল্প।
গ্রীনল্যান্ড। নামটি (Green অর্থ সবজু, land অর্থ ভূমি) শুনলেই মনে হবে সবুজ কোনও ভূমি। কিন্তু না, গ্রীনল্যান্ডে সবুজ নেই। আছে শুধু বরফ আর বরফ। দেশটির ৮০ শতাংশ এলাকা বরফে ঢাকা। শীতের কারণে দেশটির ঘর-বাড়ির চারপাশে বরফ জমে থাকে।
গ্রীনল্যান্ড হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ। এটি ডেনমার্কের একটি স্বশাসিত অঞ্চল। এর অবস্থান উত্তর আটলান্টিক আর উত্তর মেরু সাগরের মাঝখানে। অষ্টাদশ শতকে ডেনমার্ক ৭ লাখ ৭২ হাজার বর্গ মাইলের (২ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার) এই দ্বীপটিতে তাদের উপনিবেশ গড়ে তোলে।
আয়তনে মূল ডেনমার্কের চেয়ে গ্রীনল্যান্ড প্রায় ৫০ গুণ বড়। ডেনমার্ক থেকে এর দূরত্ব ২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। এর সবচেয়ে কাছাকাছি জনঅধ্যূষিত দেশ হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ড।
উইকিপিডয়ার সবশেষ (মে ২০২০) তথ্য অনুযায়ী গ্রীনল্যান্ডের জনসংখ্যা ৫৭ হাজার। জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ হচ্ছে আদিবাসী ইনুইট সম্প্রদায়ের। দেশটির বেশিরভাগ নগরী গড়ে উঠেছে পশ্চিম উপকূলবর্তী হয়ে। কারণ এর উত্তর পূর্ব কূল বরাবর গ্রীনল্যান্ড জাতীয় পার্ক অন্তর্ভুক্ত। গবেষণা তথ্য অনুযায়ী, ইনুইটরা সর্বপ্রথম গ্রীনল্যান্ডে প্রবেশ করে ২৫০০ খ্রীস্টপূর্বে।
গ্রীনল্যান্ডের প্রধান ভাষা হলো গ্রীনল্যান্ড, ডেনিশ। প্রধান ধর্ম খ্রিস্টান। সেখান মানুষের গড় আয়ু ৬৮ বছর (পুরুষ), ৭৩ বছর (নারী )। দেশটির রাজধানী নুক। এই শহরকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট রাজধানী। ২০১৭ সালের রিসার্চ অনুযায়ী নুক শহরের জনসংখ্যা ১৭ হাজার ৩৬ জন।
গ্রীনল্যান্ডে সূর্যের দেখা পাওয়া যায় মাত্র ৩ ঘণ্টা। কারণ দেশটির ভৌগলিক অবস্থান মেরু অঞ্চলে। যে কারণে সেখানকার শীতকাল বা শৈত্যপ্রবাহকাল খুব দীর্ঘসময় হয়ে থাকে। পরিবেশ থাকে প্রচণ্ড ঠান্ডা ও অন্ধকারাচ্ছন্ন। এই ঠান্ডা অন্ধকারাচ্ছন্ন দ্বীপেও লুকিয়ে রয়েছে বিচিত্র সব সৌন্দর্য্য।