• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২৭শে মার্চ, ২০২৩ ইং
Mujib Borsho
Mujib Borsho
ফরিদপুরে জ্যৈষ্ঠের তাপাদহে দেখা মিললো বকুল ফুলের

সনতচক্রবর্ত্তী:ফরিদপুরে জ্যৈষ্ঠের তাপদাহে দেখা মিললো বকুল ফুলের।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার আটটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন গাছে গাছে ছেয়ে গেছে এ ফুল। প্রকৃতির নিয়মে শোভা ছড়াচ্ছে বকুল ফুল ।বকুল ফুলের শুভ্ররাগে হৃদয় রাঙিয়ে নেয়ার সুযোগ সবাই পাচ্ছে। তাইতো জ্যৈষ্ঠের তাপাদহে গাছে গাছে ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে বকুল ফুল ফুল।

শুধু শহর নয় গ্রামেও বকুল ফুল সৌরভ ছড়াচ্ছে। চোখ জুড়ানো ঘন সবুজ পাতার মধ্যে সাদা-হলুদ মঞ্জুরি ফুলের চিরচেনা বকুল গাছ এখন চোখে পড়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায়।বকুল ফুল নিয়ে বিভিন্ন সময় কবি,সাহিত্যক শিল্পী গান রচনা করেছেন, বকুল ফুলের মালা গেথে এক প্রেমিক প্রিয়াকে ঘরে তুলেছি,ওগো, নির্জনে বকুলশাখায় দোলায় কে আজি দুলিছে, দোদুল দুলিছে/ ঝরকে ঝরকে ঝরিছে বকুল আঁচল আকাশে হতেছে আকুল/ উড়িয়া অলক ঢাকিছে পলক, কবরী খসিয়া খুলিছে’।

বর্ষার প্রকৃতিতে বকুলের স্বরূপ যেন এমনি। প্রকৃতিকে আরো সুন্দর করে তোলে। রাতে প্রস্ফুটিত সুগন্ধি বকুল সারাদিন ঝরতে থাকে। আর মাটিতে তৈরি হয় ফুলের বিছানা। এই যেন কবরী খুলিয়া ঝরে পড়ছে বকুল! অথবা বলা যায় এই পুষ্পবর্ষণ যেন প্রকৃতির কাছে অঞ্জলি! শহরের অলিগলিতে বকুল বিছানো পথে হেঁটে যায় পথিক। বুক ভরে নেয় বকুলের মিষ্টি গন্ধ। একটা সময় ছিল যখন চট্টগ্রাম শহরের যেখানে সেখানে, বাড়ির আঙ্গিনায়, উঠানে দেখা যেত এ ফুলটি। কিন্তু এখন আর আগের মত দেখা যায় না ফুলটি। হঠাৎ চলার পথে যান্ত্রিক এ শহরে এখনো কিছু জায়গায় টিকে আছে এই সুগন্থি বকুল।
দেশের অতি পরিচিত বকুল শুধু দেখতে সুন্দর আর সুগন্ধি ফুল হিসেবেই পরিচিত নয়, এর রয়েছে অনেক রকম আয়ুর্বেদিক ও ঔষধি গুণ। চিরহরিৎ বৃক্ষ বলা হয় বকুল ফুলের গাছকে। কারণ এই গাছ কখনোই পাতাশূন্য হয় না। এই ফুলটিকে গ্রীষ্মকালীন ফুল বলা হলেও আসলে বকুল ফুল বসন্তের শুরু থেকে ফোটা শুরু করে আর থাকে অনেকদিন পর্যন্ত একেবারে পুরো শীতকাল জুড়ে।

বকুলের আয়ুর্বেদিক ও ঔষধি গুণ অনেক। বকুল ফুলের রস হৃদযন্ত্রের অসুখ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। শুকনো বকুল ফুলের গুড়া নাক দিয়ে নিঃশ্বাসের সাথে টেনে নিলে মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। বকুল গাছের ছাল দিয়ে কাটা ছেঁড়ার ক্ষত পরিষ্কার করা যায়। এছাড়াও বকুল গাছের ছাল ও তেঁতুল গাছের ছাল সিদ্ধ করে পাচনের মাধ্যমে তৈরি তরল ঔষধ ত্বকের নানারকম রোগ সারাতে ব্যবহৃত হয়।

ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় ঘুরে ঘুরে দেখা যায় বকুল গাছের ডালে ডালে ছেয়ে গেছে ফুলে ফুলে । আর তার অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধ করছে সবাইকে। বিশিষ্ট সাংবাদিক কামরুল শিকদার জানান,কৈশরে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বকুল ফুল সংগ্রহ করে খেলা করেছি এবং বকুল ফুল দিয়ে মালা গেঁথে পড়েছি । কিন্তু কালের চক্রে সৌন্দর্য বর্ধক এই বৃক্ষটি দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ।

সরলা নামে এক নববধূ জানান,বকুল ফুল জানিয়ে দেয় প্রিয় মানুষের আগমনের কথা । আমরা এই ফুল দিয়ে চুলের খোপায় পড়েছি। তাই প্রকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এই বৃক্ষ লাগানো প্রয়োজন । তা না হলে আগমী প্রজন্ম এ বৃক্ষ অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধ থেকে বঞ্চিত হবে ।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মার্চ ২০২৩
শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
« ফেব্রুয়ারি  
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।