কুষ্টিয়ায় ১৩বছরের নিজ কণ্যাকে ধর্ষণ করে এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি করেছে কুতুবউদ্দিন নামের এক পাষন্ড পিতা। পেশায় সে একজন বিস্কুট তৈরির কারিগর।
ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের মশান পুর্ব শাহপাড়া এলাকায়। ধর্ষনের শিকার মেয়েটি স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
সবার সামনে ওই মেয়ে পিতা কর্তৃক ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের মশান গ্রামের পুর্ব শাহপাড়াতে স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতো শহর আলীর ছেলে বিস্কুট তৈরির কারিগর কুতুবউদ্দিন। একই বাড়ীতে তার বিধবা মা, স্বামী পরিত্যক্ত বোন থাকতো।
মেয়ে স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। হঠাৎ করেই মেয়ের উপর কুনজর পড়ে কুতুবউদ্দিনের।
ঘটনার দিন সোমবার সন্ধ্যার পর তার স্ত্রী ও বোন পাশের বাড়ীতে থাকায় নিজ ঘরে মেয়ের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় সে। এসময় তার কণ্যা হাতে পায় ধরেও মন গলাতে পারেনি পাষন্ড পিতার।
পরে রাতে কণ্যা শিশুটি এ ঘটনা তার মা ও চাচীকে খুলে বললে স্থানীয়রা কুতুবউদ্দিনকে পিটিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে।
কিন্তু সে কৌশলে পালিয়ে যায়। ঐ রাতেই মান সম্মানের ভয়ে কণ্যা শিশুকে নিয়ে তার মা তাঁর নানীবাড়ী আমলায় চলে যায়।
পরের দিন মঙ্গলবার এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পাষন্ড পিতা কুতুবউদ্দিনের বিচারের দাবীতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এলাকাবাসী।
ওই এলাকার ইউপি সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। ওদের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা প্রমাণীত হলে শরিয়ত মোতাবেক বিচার করা হবে। কুতুবউদ্দিনের বাড়ীতে লোক পাঠিয়েছিলাম কিন্তু কুতুবউদ্দিনের ঘর তালাবদ্ধ পেয়ে ফিরে এসেছি।
এ বিষয়ে মিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।