• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
অবশেষে বহুল বিতর্কিত ভাঙ্গার ইউএনও’র বদলি \ এলাকায় স্বস্তি

ছবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুর রহমান খান)

মোঃ রমজান সিকদার, ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি-০৩/০১/২০২১

ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার বহুল বিতর্কিত ও সমালোচিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুর রহমান খানের বদলির আদেশ হয়েছে।

রোববার উপসচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি ওয়েব সাইটে প্রকাশ পায়। ইউএনও’র বদলির সংবাদ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়লে তার দ্বারা ভুক্তোভুগিরা সহ সমাজের নানা শ্রেনী পেশার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। একই সাথে সকলে কন্ঠে একই উচ্চারিত হয় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার।

গত ১০ই মার্চ ২০২০ তারিখে ইউএনও রাকিবুর রহমান খান ভাঙ্গায় যোগদান করেন। যোগদানের পর হতেই বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডে একাধিকবার সমালোচনার ঝড় ওঠে তাকে নিয়ে। তাকে নিয়ে সকল ইলেকট্রনিক্স ও পিন্ট মিডিয়ার অসংখ্য সংবাদের শিরোনাম করেন। তারপরেও বিশেষ খুটির জোড়ে এতদিন তার পদে বহাল ছিলেন। তিনি নিজ বাসার ভেতরে শটগানের একাধীক গুলি ফুটিয়ে এলাকায় আতংঙ্ক সৃষ্টি করে মিডিয়ার শিরোনাম হন। এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুজিববর্ষর উপহার দরিদ্রদের আবাসন প্রকল্পর ২৫০টি ঘর নিজ অফিসের কর্মচারিদের দ্বারা করিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেও সমালোচনায় পড়েন তিনি।

এছাড়াও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস,এম হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে তাকে অহেতুক হয়রানি করেন তিনি। গত দুই মাস আগে আড়িয়াল খাঁ নদীর খনন কাজের কোটি কোটি ঘনফুট বালূ উত্তোলন করে তা নিজেই বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করায় ব্যাপক সমালোচনা হয় তাকে নিয়ে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে মামলা সহ হয়রানির ভয় দেখানো ছিল প্রধান অস্ত্র। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের তার রুমে প্রবেশাধীকার ছিল কড়াকরি অবস্থা। গত বছরের ডিসেম্বরে ভাঙ্গা বাজারের ৬৫ শতাংশ সরকারি জায়গা বরাদ্দর নামে কথিত দোকানদারদের কাছ কোটি কোটি টাকার বানিজ্য করেন তিনি। এনিয়ে এলাকাবাসি ও ভাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ সহ মানববন্ধন করেন। সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধনের কারনে মাননীয় জেলা প্রশাসক অতুল সরকার দোকান ঘর বরাদ্দ বন্ধ করে উক্ত জায়গায় কাজ বন্ধের নির্দেম দেন। এবিষয়টি নিয়ে গনমাধ্যম গুলো ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করে।

এছাড়াও তার সাথে অফিসের কোন কর্মকর্তার সাথে ভালো ব্যবহার না থাকায় সম্বয়ন সভায় অনেকেই উপস্থিত হতো না। ফরিদপুর-৪ আসনের মাননীয় সাংসদ মজিবুর রহমান চৌধুরীর সাথেও তার ছিল বৈরী আচরন। এই ইউএনও’র জন্য সাংসদকে বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

ইউএনও’র বদলির সংবাদে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফাইজুর রহমান বলেন, এই ইউএনও ভাঙ্গায় যোগদানের পর হতেই ভাঙ্গাবাসিকে জিম্মি করে অর্থ বানিজ্যে লিপ্ত হয়েছে। তার পাপের ঘড়া পুর্ন হওয়ায় জনতার আন্দোলনের মুখে তার পতন হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স সেখানে এই ইউএনও অনেক বেশী সাহস দেখিয়েছে।

এব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পদক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, তার বদলির আদেশের খবরে ভাঙ্গায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। এখন আরেকটি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা উপজেলা সহকারি কমিশনার {ভুমি) আল-আমিন মিয়ার বদলি হলে ভাঙ্গাবাসি মুক্ত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রার কাছে আবেদন থাকবে এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনার দ্বারা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া সময়ের দাবি।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।