রাজশাহী মহানগরীতে মাস্ক পরিধানে এক তৃতীয়াংশ মানুষের অনীহা! বাড়ছে সংক্রমণ ঝুঁকি
ইতিমধ্যে রাজশাহী রেড জোনে চলে এসেছে। তবু্ও মাস্ক ব্যবহার করছেন না অনেকে। রাজশাহীতে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বাড়ছে করোনায় মৃতের সংখ্যাও। তারপরও স্বাস্থবিধি মানতে নারাজ এক শ্রেণির মানুষ। এতে বাড়ছে সংক্রমণ ঝুঁকি। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) নগরীর ২টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়ে দেখা গেছে, নগরীর এক তৃতীয়াংশ মানুষের মুখে মাস্ক নাই। যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন তাদের অনেকেই নিয়ম মেনে মাস্ক পরছে না। কেউ কেউ মাস্ক নাকের নিচে নামিয়ে চলাফেরা করছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত নগরীর রেলগেট এলাকায় অবস্থান নিয়ে দেখা যায়, ১ হাজার ৯২৬ জন মানুষের মধ্যে ৬৪৭ জন মাস্ক ব্যবহার করছেন না। এবং বেলা ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় অবস্থান নিয়ে দেখা যায়, ১ হাজার ৬০৫ জনের মধ্যে ৫৪৫ জন মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। মাস্ক পরিধানে যাত্রীদের সচেতনতা দেখা গেলেও মোড়ে অবস্থান করা মানুষ এবং চালকদের অসচেতনতা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া, বেশকিছু অটো রিকশা ও সিএনজিসহ নসিমন ও ট্রলিতে গাদাগাদি করে মাস্কবিহীন যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।
এ সময় কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, জীবিকার তাগিদে প্রতিদিনই তাদেরকে বাইরে আসতে হচ্ছে। করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে আগের চেয়ে তারা অনেক সচেতন হয়েছেন। কিন্তু এই প্রচণ্ড গরমে সব সময় মাস্ক পরে বাইরে কাজ করা খুবই কষ্টকর।
অটো রিকশা চালক সহিদ জানান, করোনার শুরু থেকেই তিনি নিয়মিত মাস্ক পরেন। কিন্তু গরমের কারণে সবসময় মাস্ক পরে থাকা যায় না। এতে কখনো নাকের নিচে আবার কখনো মাস্ক খুলে রেখে কিছুটা বিশ্রাম নেন। কেননা সবসময় মাস্ক পরে থাকতে অস্বস্তি বোধ হয়।
অটোরিকশা যাত্রী শাকিল জানান, গুরুত্বর্পূণ কিছু কাজের জন্য তিনি বাজারে যাচ্ছেন। অনেক সময় ধরে মাস্ক পরে থাকায় প্রচণ্ড গরমে অস্বস্তি লাগছিলো ন তাই মাস্ক নাকের নিচে নামিয়ে রেখেছেন।এ বিষয়ে রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরিফুল হক গণমাধ্যমকে জানান, করোনা সংক্রমণ এড়াতে সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে সচেতন করা হচ্ছে। মাস্ক পরতে মানুষকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি জমিমানাও করা হচ্ছে। কেউ যদি মাস্ক না পরেন সেক্ষেত্রে তাকে জারিমানা করা হবে। জেলা প্রশাসনের নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
