প্লেগ বা ব্ল্যাক ডেথে যখন ইউরোপের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা স্রেফ নাই হয়ে গিয়েছিল সেই সময় মহাদেশটির সম্পদ গিয়ে জমা হয়েছিল ক্ষুদ্র একটি গ্রুপের হাতে। অর্থাৎ জনসংখ্যার যে নগণ্য অংশটি আগে থেকেই ধনী ছিল মহামারীকালীন ও পরবর্তীতে তারা আরো বেশি সম্পদের মালিক হয়ে উঠেছিল। এই কভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীতেও কি সেই ব্ল্যাক ডেথের পুনরাবৃত্তি ঘটবে?
এই প্রশ্নটি কিন্তু শুরু থেকেই উঠছে। যখন দেখা গেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার ঠেকাতে দেশে দেশে শুরু হলো লকডাউন, বন্ধ হয়ে গেল ব্যবসা-বাণিজ্য, ভ্রমণসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক তৎপরতা, সেই সময় চাঙ্গা হয়ে উঠলো ই-কমার্স ব্যবসা। অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো অর্ডার সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছিল। সে পরিস্থিতির এখনো খুব একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এরকম আরো কিছু বিশেষ ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য কিন্তু করোনাকালে অবিশ্বাস্যরকম চাঙ্গা হয়েছে।
১৩৪৮ সালের জুনে ইংল্যান্ডে প্রথম প্লেগ আঘাত হানে। মূলত মধ্যএশিয়া থেকে সেনা এবং বণিকদের মাধ্যমেই এই রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ইউরোপে প্রবেশ কর।
ব্ল্যাক ডেথের প্রাদুর্ভাবে ইউরোপ ও নিকট প্রাচ্যের প্রায় এক তৃতীয়াংশ থেকে অর্ধেক জনসংখ্যা মারা যায়। এই বিপুল প্রাণহানির পাশাপাশি অর্থনীতিতেও ধস নামে। কারণ শ্রমশক্তির এক তৃতীয়াংশ তখন মৃত, বিশেষ করে কৃষিখাত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। এমনকি ইংল্যান্ডের দশটির একটি গ্রাম পুরোপুরি বিরানভূমিতে পরিণত হয়। এসব গ্রাম আর কখনোই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।
ব্ল্যাক ডেথে আক্রান্তদের ৮০ শতাংশই মারা গেছেন। এই মহামারীর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে পরে অনেকেই গল্প উপন্যাস কবিতা লিখেছেন। স্কটিশ গল্পকথক জন অব ফরডান লিখেছেন, সবাই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছিল, তবে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত আর গরিব নিম্নশ্রেণির লোকেরাই বড়লোকদের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। এটা এমন এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির তৈরি করে যে সন্তানরা মৃত্যুপথযাত্রী বাবা-মাকে ত্যাগ করতো আর বাবা-মায়েরা আক্রান্ত সন্তানদের কাছে যেত না। এটিকে কুষ্ঠ বা ভয়ঙ্কর বিষধর সাপের মতোই এড়িয়ে চলতো মানুষ।
এখনকার করোনা মহামারীর সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায় এই গল্প।
ব্ল্যাক ডেথের তুলনায় করোনায় মৃত্যু হার খুবই কম। কিন্তু এ মহামারীর কারণে অর্থনীতিতে অনেক দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে আধুনিক অর্থনীতির পরস্পর ঘনিষ্ঠ নির্ভরশীল আচরণের কারণে ক্ষতিটা বেশিই হবে। তাছাড়া এখন মানুষ অনেক বেশি ভ্রমণ করে এ কারণে এ ভাইরাসের বিস্তারও ঘটেছে দ্রুত। প্লেগ যেখানে মহামারী রূপ নিতে কয়েক বছর সময় লেগেছে সেখানে কয়েক মাসের মধ্যে বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নিয়ে করোনা।
ব্ল্যাক ডেথে অর্থনীতির ক্ষতি ছিল স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব খুব একটা স্পষ্ট নয়। প্লেগ শুরুর আগে অনেক দেশেই শ্রমিক উদ্বৃত্ত ছিল। মহামারীতে বিপুল সংখ্যক ভূমিদাস ও কৃষকের মৃত্যু হওয়ায় সেই উদ্বৃত্ত সমস্যা কেটে যায়। এতে বেঁচে যাওয়া কৃষক-শ্রমিকরা বেশি মজুরি দাবি করার সুযোগ পেয়ে যান। এছাড়া সরকারের নানা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভূমিদাস প্রথা এবং সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা শেষ পর্যন্ত বিলীন হয়ে যায়।
তবে চোখের পলকে এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা কমে যাওয়ার পরও কিন্তু ইউরোপে সম্পদের পুনর্বণ্টন হয়নি। বরং সম্পদশালীরা তাদের সম্পদ আরো বেশি করে পরিবারের মধ্যে আবদ্ধ রাখার কৌশল নেয়।
মহামারী পরিবর্তী সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ঘটনাটি ঘটে সেটি হলো, বিপুল সম্পদশালী অনেক উদ্যোক্তার আবির্ভাব। পাশাপাশি সরকার-ব্যবসায়ী সম্পর্ক গভীরতর হয়। ইউরোপের বৃহৎ কোম্পানিগুলো মহামারীর কারণে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দীর্ঘমেয়াদে তারা আরো বেশি সম্পদ অর্জন করেছে, বাজারে অংশীদারিত্ব বেড়েছে এবং সেই সঙ্গে সরকারে তাদের প্রভাব প্রতিপত্তিও বেড়েছে।
বর্তমান করোনা মহামারীতেও কিন্তু অনেক দেশে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। ছোট কোম্পানিগুলো যখন অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সরকারের কাছে হাত পাতছে তখন বৃহৎ করপোরেশনগুলো বিশেষ করে যারা হোম ডেলিভারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তারা নয়া পরিস্থিতিতে আরো বেশি করে টাকা বানাচ্ছে। এরা পরবর্তীতে সরকারি নীতিকেও যে প্রভাবিত করবে তাতে সন্দেহ নেই।
চৌদ্দ শতকের মাঝামাঝির অর্থনীতির তুলনায় আজকের অর্থনীতি আকারে অনেক বড়, অনেক গতিশীল এবং আন্তঃসংযোগ অনেক বেশি। কিন্তু ব্ল্যাক ডেথের মতোই এখনো এই মহামারীর কারণে যে হাতেগোনা কয়েকটি বৃহৎ করপোরেশনের প্রভাব প্রতিপত্তি বাজারে ও রাজনীতিতে বাড়বে সেটা খুব সহজেই তুলনা করা যেতে পারে।
ব্ল্যাক ডেথ চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে ধনী ব্যবসায়ীরা সম্পদ আর পরিবারের বাইরে যেতে দেয়নি। সম্পদের এক তৃতীয়াংশ দাতব্য সংস্থাকে দেয়ার একটা চল ছিল। সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এর সুফল পেয়েছে উত্তরসূরিরা। ছোট ছোট হাতে বিপুল অর্থসম্পদ এসেছে শুধু উত্তরাধিকার সূত্রে।
একই সময়ে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার পতন ঘটতে থাকে, আবির্ভাব ঘটে মজুরিভিত্তিক শ্রম নির্ভর অর্থনীতির। কৃষিশ্রমিকদের মজুরি চাহিদা বৃদ্ধির সুফল ঘরে তোলে শহুরে অভিজাতরা। শ্রমের বিনিময়ে বন থেকে কাঠ সংগ্রহের অনুমতি পাওয়ার মতো সামন্ততান্ত্রিক দয়াদাক্ষিণ্যের পরিবর্তে কৃষকরা নগদ টাকা পেতে শুরু করলেন। ফলে তারা শহরে গিয়ে আরো বেশি টাকা খরচ করার সামর্থ্য অর্জন করলেন। এতে কনজিউমার প্রোডাক্ট ব্যবসার দারুণ এক সুযোগ তৈরি হলো।
সম্পদ পুঞ্জিভবনের এই পরিস্থিতিতে বাজারে আসতে শুরু করলো ধনী বণিক শ্রেণি। হাতে প্রচুর টাকা থাকার কারণে তারা বড় বড় কারখানা করতে শুরু করলো। যেমন: আগে রেশম আমদানি করা হতো এশিয়া ও বাইজান্টাইন থেকে। শিল্প-বণিকরা তখন নিজেরাই কারখানা করলেন। ইতালিতে রেশম ও কাপড়ের কারখানা হলো।
এই উদ্যোক্তারা শ্রমিক সঙ্কটের সুফলটা নিলেন চমৎকারভাবে। স্বাধীন তাঁতীদের ছিল না তাদের মতো পুঁজি, আবার সম্ভ্রান্তদের টাকা আটকে ছিল জমিতে। কিন্তু নতুন উদ্যোক্তাদের হাতে ছিল প্রচুর নগদ অর্থ। তারা নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ শুরু করে এবং শ্রমিক সঙ্কট মোকাবেলা করে বৃহৎ মেশিনারিজ দিয়ে। জমির দাম কমে যাওয়ার ফলে তারা সস্তায় কিনতে পেরেছিল। বিপুল স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে বেকায়দায় পড়া সামন্তপ্রভূদের সঙ্গে তৈরি হয় তাদের সখ্য।
সব মিলিয়ে দেশের পুঁজি, দক্ষতা এবং অবকাঠামো গুটিকয় করেপোরেশনের হাতে চলে যায়।
এই কভিডকালেও পুঁজি বাড়াচ্ছে বৃহৎ সব করপোরেশন। ছোট ছোট দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পাব, রেস্টুরেন্ট সব বন্ধ। মানুষ কিনছে অনলাইনে। বলতে গেলে কাগজের নোট প্রায় হাওয়া!
নিত্যপণ্যের চাহিদা মেটাতো সুপারমার্কেট। সেই স্থান দখল করেছে সুপারমার্কেট চেইন। তাদের বিপুল পুঁজি এবং দক্ষ এইচআর দ্রুত ও সস্তায় কর্মী নিয়োগ করতে পেরেছ কারণ এরই মধ্যে প্রচুর মানুষ বেকার। বিপুল সংখ্যক নতুন ওয়্যারহাউজ স্থাপন করেছে, নতুন ট্রাক ও জটিল লজিস্টিক ক্যাপাসিটি নিয়ে তারা মহামারীর সুযোগ লুফে নিয়েছে।
তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাভবান অনলাইন খুচরা বিক্রেতারা। অ্যামাজন, ই-বে, আর্গোস, স্ক্রুফিক্সের মতো প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি চাঙ্গা। ব্ল্যাক ডেথ সময়কার মতোই তাদের বাজার অংশীদারিত্ব বেড়েছে।
লকডাউনে জনপ্রিয় হয়েছে স্ট্রিমিং সার্ভিস। সেখানে নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, ডিজনি এবং অন্যদের আধিপত্য। অনলাইন জায়ান্ট গুগল, ফেসবুক, টুইটারের ব্যবহারও বেড়েছে।
সেই সঙ্গে ডেলিভারি কোম্পানিগুলোরও পোয়াবারো! ইউপিএস, ফেডেক্স, অ্যামাজন লজিস্টিক্সের পাশাপাশি ফুড ডেলিভারি কোম্পানি জাস্ট ইট, ডেলিভেরু, উবার ইটস এরা সবাই হিট। প্রত্যেকের বিজনেস মডেল আলাদা। কিন্তু এই মহামারী তাদের সবার জন্যই আশীর্বাদ।
এছাড়া এই পরিস্থিতি রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত নগদ অর্থের ওপর করপোরেটদের নিয়ন্ত্রণ পথ পরিবর্তন করে এখন স্পর্শহীন পেমেন্ট সেবার দিকে গেছে। এটাও সম্পূর্ণ অনলাইন মার্কেট প্লেস। সেখানে ভিসা, মাস্টারকার্ডের আধিপত্য তো আছেই, সেই সঙ্গে অ্যাপল পে, পেপল এবং অ্যামাজনের আধিপত্যও কিন্তু কম নয়। তার মানে আবার সেই বৃহৎ করপোরেটদের দখলেই বাজার। যে কোনো উপায়ে তারা মানুষের পয়সা খরচের প্রবণতা অব্যাহত রেখেছে।
আরো আছে অনলাইন সভা, কনফারেন্স বা অন্যান্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়। সেখানেও মাইক্রোসফটের স্কাইপে, জুম, ব্লুজিনস ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম। পাশাপাশি বেড়েছে ল্যাপটপ, ওয়েবক্যাম বিক্রিও, যা তৈরি করে বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানি।
সব মিলিয়ে বিলিয়নেয়াররা আরো বেশি অর্থসম্পদ জমিয়েছেন এই মহামারীর সময়। যেমন, অ্যামাজনের সিইও জেফ বেজোসের সম্পত্তি এরই মধ্যে বেড়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলার (জানুয়ারি থেকে জুন)।
কাহিনী এখানেই শেষ নয়। করোনা ভাইরাস রাষ্ট্রের ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। ব্ল্যাক ডেথের সময় ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ চরম পর্যায়ের চলে গিয়েছিল, জনগণের ওপর করের বোঝা বেড়েছিল, সেই সঙ্গে বৃহৎ কোম্পানির ওপর অধিক নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল সরকার। সাধারণ জনগণের দৈনন্দিন জীবনে সরকারের হস্তক্ষেপ আপত্তিকর পর্যায়ের চলে গিয়েছিল। কারফিউ, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন এগুলো কথায় কথায় বাস্তবায়ন করা হতো। ঠিক এখনকার মতোই তাতে বিপুল সংখ্যক মানুষের সমর্থনও ছিল। আঞ্চলিক প্রশাসনগুলোর ক্ষমতা খর্ব করে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করা হয়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রশাসনে আনা হয় অভিজাত বণিক পরিবারের সদস্যদের। এর মধ্যে কবি জিওফ্রে চশার অন্যতম। এরকম অনেককে অসম্ভব রাজনৈতিক ক্ষমতা দেয়া হয়।
জমির দাম পড়ে যাওয়ার ওই সময়ে বণিকদের ইচ্ছেমতো জমি কেনার সুযোগ দেয়া হয়। ভূমি মালিকরাও তাদের সে সুযোগ দেয়। এমনকি বণিকরা সম্ভ্রান্ত সামন্তদের সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হতে শুরু করে। এতে করে তারা সহজেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কেন্দ্রে প্রবেশের অধিকার পেয়ে যায়। শহুরে অভিজাতরা ক্রমেই পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে থাকে। বণিক শ্রেণির ওপর সরকারের এই অতি নির্ভরশীলতার নীতি চৌদ্দ শতকের শেষ নাগাদ ব্রিটিশ রাজে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের সূচনা করেছিল। সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হলে করপোরেশনের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক আরো গভীর হতে শুরু করে।
রাষ্ট্রের ক্ষমতা সম্পর্কে যে বৃহৎ ধারণা সেটি কিন্তু একুশ শতকের ঘটনা। সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতি এবং অর্থনীতির প্রধান এজেন্ডা সার্বেভৌম জাতির ধারণাটি গত কয়েক শতক ধরে বলবত ছিল। কিন্তু ১৯৭০ এর দশক থেকে বুদ্ধিজীবীরা বলে আসছেন, রাষ্ট্র এখন কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মধ্যে রাষ্ট্রের যে একাধিপত্য সেটি এখন বহুজাতিক করপোরেশনের চ্যালেঞ্জের মুখে।
২০১৬ সালে শীর্ষ ১০০ অর্থনীতির একটি তালিকা প্রকাশ পেয়েছিল। যেখানে ৩১টি দেশ স্থান পেয়েছিল। বাকি ৬৯টিই ছিল কোম্পানি! তালিকার তথ্য মতে, ওয়ালমার্টের অর্থনীতি স্পেনের চেয়ে বড়, আর টয়োটা ভারতের চেয়ে বড়! এই বৃহৎ কোম্পানিগুলো যে রাজনীতিবিদ ও নীতি নির্ধারকদের প্রভাবিত করতে সক্ষম তা বলাবাহুল্য। জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি নিয়ে তেল কোম্পানির আচরণই এটা বুঝার জন্য যথেষ্ট।
এক কথায়, ব্ল্যাক ডেথ রাষ্ট্র ও বৃহৎ করপোরেশনের প্রভাব প্রতিপত্তিকে দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী করেছে। ঠিক একই প্রক্রিয়া কভিড-১৯ মহামারীকালেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশেষ করে লকডাউনে এটি বেশ দ্রুততার সঙ্গেই ঘটেছে। যদিও এতে বিপুল সংখ্যক মানুষের সমর্থন রয়েছে। ফলে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে পেলেও কিছু বলার থাকবে না।
সংবাদ সুত্র : বণিক বার্তা