ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের চরগয়েশপুর গ্রামে লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে এবং পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুই গ্রুপ গ্রাম বাসির মধ্যে মারামারীতে উভায় পক্ষেও আহত হয়ে ২১ জন হাসপাতালে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের চরগয়েশপুর গ্রামে দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটি হয়। শুক্রবার ফজরের নামাজ পরবর্তী উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের ২১জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন নাজির শেখের ছেলে রাকিব সেখ,সুলতান শেখের ছেলে আহম্মদ শেখ,শামসুল শেখের ছেলে ছবুর শেখ, হারেজ উদ্দিন সেকের ছেলে আকরাম আলী শেখ, আমজাত শেখ এর ছেলে শাহিন শেখ,আব্দুল ওহাব মন্ডলের ছেলে মো: মহেদ মন্ডল, নিমাই শেখের ছেলে তফেল শেখ,আমজেদ আলী শেখের ছেলে রিপন শেখ,
আমজাদ শেখের ছেলে নাসির শেখ,মূত: আনসার শেখের ছেলে রাশেদ শেখ,সামসেল মোল্লার ছেলে ছরোয়ার মোল্লা, ছবেদ মোল্লার ছেলে মুকুল মোল্লা,আবুল সেখ এর ছেলে আনোয়ার সেখ, জাকির শেখের ছেলে সোহাগ শেখ, রিয়াজ শেখ এর ছেলে নুরুল শেখ, জহুর শেখ এর ছেলে ছাদেক শেখ, আব্দুল রহিম শেখের ছেলে শহিদ শেখ ,ছালাম শেখের ছেলে কালাম সেখ, হাকিম শেখের ছেলে মিলন শেখ, সুলতান শেখের ছেলে গোলাম নবী শেখ। নাসিরসহ আহতরা মধুখালী সদর হাসপাতাল,ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ১ জন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ৪/৫ জন মধুখালী সদর হাপাতাল থেকে শনিবার চিকিৎসা শেষে বাড়ী ফিড়ে গেছেন।
কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুর রহমান বাবু বিশ্বাস তাঁর মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি জানান পরিকল্পিত ভাবে ভোর বেলা জাকির হোসেনের নেতৃত্বে নাসির শেখের বাড়ী ঘিরাও করে হামলা করে এতে নাসিরসহ তার পক্ষেও লোকজন বেশী আহত হন। মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলামের মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন উভয় পক্ষই অভিযোগ দিয়েছেন আইনী প্রক্রিয়া চলছে ।