• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ ইং
বোয়ালমারীতে প্রতিপক্ষের হামলায় এক পক্ষের দুইজন নিহত

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ী-চরদৈতরকাঠি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায়
একপক্ষের দুইজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে গোহাইলবাড়ি শামচু মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হয়েছে আরো কয়েকজন।
আহতদের মধ্যে রাজিবুল ইসলাম (৩০), কাদের মোল্যা (৪০), সোহেল শেখকে (২০) বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মাসুদ আহমেদ (৪০) ও আলমগীর আহমেদসহ
কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ী- দৈতরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা জামান সিদ্দিকীর সাথে গোহাইলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মরহুম বজলু খালাসির ছেলে আরিফ হোসেনের দীর্ঘদিন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঝঁামেলা চলে আসছে। গত ১৬
এপ্রিল স্থানীয় গোহাইলবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন নিয়ে মোস্তাফা জামানের ও আরিফের দুই প্যানেলে নির্বাচিত অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোস্তাফার প্যানেল
বিজয়ী হয়ে পুনরায় তিনি (মোস্তফা) ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর থেকে দুইজনের মধ্যে তীব্র আকার ধারণ করে তাদের বিরোধ। এর আগে থেকেই মোস্তফার বাবা
ঘোষপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্বাধীণতা যুদ্ধকালীন স্থানীয় গোহাইলবাড়ি ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আহমেদ ও আরিফ হোসেনের বাবা
মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা বজলু খালাসির মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। হামলার সময় আরিফ হোসেনের বড় ভাই শরীফ হোসেন ঈদের ছুটিতে বাড়ি ছিলেন বলে একাধিক সূত্রে জানা
যায়। শরীফ হোসেন গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ঘটনার পর থেকে তিনি এলাকা ত্যাগ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে বেলা ২টার দিকে মোস্তফা জামানসহ কয়েকজন গোহাইলবাড়ি বাজারে যাচ্ছিল। এ সময় বজলু খালাসির ছেলে আরিফের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল নিয়ে ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল মোস্তফা জামানের লোকজনকে ঘিরে ফেলে রামদাসহ লাঠিসোটা দিয়ে কুপিয়ে চলে বলে বীরমুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আহমেদ জানান।
এতে মোস্তফার আপন দুইভাই মাসুদ আহমেদ (৪০) ও আলমগীর আহমেদসহ আকিদুল মোল্যা (৪৬) ও খাইরুল মোল্যাকে (৪৭) গুরুতর আহত অবস্থায় বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে আকিদুলকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খায়রুল শেখ, মাসুদ আহমেদ ও আলমগীর আহমেদসহ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করে। খায়রুল শেখ ফরিদপুর নেওয়ার পথে মারা যায়। নিহত দুইজনের লাশ বর্তমানে বোয়ালমারী থানায় নেওয়া হয়েছে।
মোস্তফা জামানের প্রতিপক্ষ আরিফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারটি (০১৭৫৭৮৩৩৬৪১) বন্ধ পাওয়া যায়। বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডা. আতোষি বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই আকিদুলের মৃত্যু হয়েছে। খাইরুলসহ আরো কয়েকজনের অবস্থাও আশঙ্খজনক
হওয়ায় তাদেরকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আরো কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হামলায় আকিদুল ও খাইরুল নামের দুইজন নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল এলাকায় পুলিশের তিনটি টিম কাজ করছে। অভিযান চলমান রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে
আটক করা সম্ভব হয়নি।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মার্চ ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« ফেব্রুয়ারি    
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।