নিজ্বস্ব প্রতিনিধি :মৃত্যুর ৯ মাস পর ফের ময়না তদন্তের জন্যে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার মিঠাপুর কবরস্থান থেকে সজীব ভুইয়া নামের এক যুবকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইমাম রাজি টুলুর উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত সজীব ভুইয়া পাশের বোয়ালমারী উপজেলার শেখ পুর গ্রামের কামাল ভুইয়ার পুত্র।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)’র উপ পরিদর্শক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেয় আদালত, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক লাশ তুলে ময়না তদন্তের জন্যে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, এজাহারে উল্লেখিত ১২ আসামীর মধ্যে ছয়জনকে এরই মধ্যে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে, বাকীদের গ্রেফতারে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাদী মো. কামাল ভুইয়া জানান, তার পুত্র সজীব ভুইয়া পুর্ব পরিচিত মুরাদ তালুকদারকে দেয়া পাওনা টাকা ফেরত পেতে চাপ দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয় তারা। চাপ দেয়ার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সজীবকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ২৬ জানুয়ারী তারা ইস্রাফিল তালুকদারের নির্দেশে ইস্রাফিলের ঘরের মধ্যে আটকে রেখে দীর্ঘ সময় ধরে নির্মমভাবে মারধর করে আহত করে এবং এক পর্যায়ে মুখের মধ্যে বিষ ঢেলে দিয়ে সজীব আত্মহত্যা চেষ্টা করেছে বলে অপপ্রচার করে। তিনদিন চিকিৎসা দেয়ার পর গত ২৯ জানুয়ারী সজীবের মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় সজীবের মৃত্যুর পরই থানা পুলিশকে কব্জায় নিয়ে নেয় বিধায় থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই মৃত্যুর দেড় মাস পর আদালতের স্বরণাপন্ন হলে আদালত মামলা এজাহারভুক্ত করতে নির্দেশনা দেয় আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশকে। কিন্তু থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরিসহ নানাভাবে শুরু থেকেই বৈরি আচরণ করতে থাকে। এরই মধ্যে মামলার তদন্তভার সিআইডির উপর ন্যান্ত করা হয়। তিনি জানান, দীর্ঘ সময় পর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলেও তা প্রভাবিত করে করা হয়েছে অনুমেয় হওয়ায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয় আদালতে। আদালত পুন:ময়নাতদন্তের নির্দেশনা দেয়ায় ন্যায় বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও দেখা দিয়েছে বলে দাবী তার।
নিহতের চাচা মো. মজিবর রহমান জানান, নিহত সজীবের শরীর জুড়ে অনেক আঘাতের চিহ্ন থাকলেও সুরতহার রিপোর্টে তা উল্লেখ করা হয়নি। তিনি এ ঘঁটনার ন্যায় বিচার দাবী করেন।