একজন মানব দরদী ফেরিওয়ালা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর ঃ বাংলাদেশ তথা সারাবিশ্বে মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে পৃথিবীটা আজ শানশান নিরবতা । মৃত্যু থেমে নেই, কি আবাল, বৃদ্ধ,বনিতা, শিশু কাউকেই তাঁর ভয়াল থাবা থেকে নিস্তার দিচ্ছে না । এই অস্হিরতার মাঝে মানুষ আজ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে । কিন্তু এভাবে বসে বসে চিন্তা করলে তো আর পৃথিবী বসে থাকবে না । মানুষের মুখে নূন্যতম একমুঠো খাবার প্রয়োজন । সারাবিশ্বে লগডাউন চলছে । সেথেকে বাংলাদেশ তথা ফরিদপুরও বাদ যায়নি । লগ ডাউন ঘোষণায় সাধারণত ঔষধ, কাঁচাবাজার, মুদিদোকান হাসপাতাল ছাড়া সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন বন্ধ হয়ে যায় । তাছাড়া করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহবন্দি হয়ে পরে জেলার সকল মানুষ।
তবে গৃহবন্দি হয়ে থাকা সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষেরা সবচেয়ে বেশি অসহায় হয়ে পরে। এ সময় সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তরুণ স্বেচ্ছাসেবক গরিবের বন্ধু খ্যাত খাইরুল ইসলাম রোমান। খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ছুটছেন সমাজের নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে।
আমরা পৌঁছে যাব তার দরজার। যেখানে তিনি তার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বারটি ব্যবহার করেন। সেই মোবাইলে আসা তথ্যের ভিত্তিতে তিনি সবার দ্বারে দ্বারে গিয়ে খাবার পৌঁছে দিয়ে আসেন। এভাবে তিনি ফরিদপুর শহরের আনাচে কানাচে এবং ফরিদপুর সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে অসহায় দারিদ্র পরিবারের নিকট খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে আসেন নিজ দায়িত্বে।
প্রতিটি অসহায় পরিবারেরর জন্য ৫ কেজি চাল, ১ কেজি আলু, ১ কেজি পেয়াজ, ১ কেজি লবন, ৫০০ গ্রাম সয়াবিন তেল, ৫০০ গ্রাম ডাল, ১ টা সাবান এবং একটা হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।
খাইরুল ইসলাম রোমান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সান্ত খান, ইমন শেক, সজিব ইসলাম, বাহারুল ইসলাম রবিন, শেখ কামরুল হাসান, জসিফ খান রক্তিম, হাসান মুন্না, ইফাত হাসান, শিপন শেখ পাইলটের প্রতি। কেননা এই মানুষগুলো তরুণ স্বেচ্ছাসেবী খাইরুল ইসলাম রোমানের সহযোগী হিসেবে প্রতিটি অসহায় পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ছুটে যান। রোমান তার নিজ উদ্যোগে এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে।