চাঁদপুরের কৃতি সন্তান বাংলাদেশ পুলিশের সিলেট রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. কামরুল আহসান বিপিএম (বার)-কে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে পদায়ন করা হলো তাকে।
রোববার ৩ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সিলেট রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) থেকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে নতুন কর্মস্থলে পদায়ন করা হয়েছে।
মো. কামরুল আহসান (বিপিএম) ১৯৬৬ সালে পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর ত্রিধারা বিধৌত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর ইমামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ঢাকার সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে (এমবিএ) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, তিনি ১৯৯১ সালে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে যোগদান করেন। মৌলিক ও বাস্তব প্রশিক্ষণ শেষে খাগড়াছড়ি জেলার সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়িত হওয়ার পর যথাক্রমে তিনি চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী সার্কেল এএসপি, এএসপি ডিএসবি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি, ফেনী জেলার অ্যাডিশনাল এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
গৌরবময় ও বর্ণিল পেশা জীবনে তিনি শরিয়তপুর, চট্টগ্রাম ও যশোর জেলার পুলিশ সুপার, পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (সংস্থাপন) ও অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ট্রেনিং) এবং রেলওয়ে রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সর্বশেষ ২০১৬ সালে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এর আগে ২০১৪ সালে তিনি সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। চাকরির শুরুতে রাজশাহীর সারদাতে অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে মৌলিক প্রশিক্ষণের পাঠ্যক্রমে (একাডেমিক) শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় ‘আইজিপি শিল্ড’ অর্জন করেন।
বাংলাদেশ পুলিশে অসাধারণ ও দৃষ্টান্তমূলক চাকরির স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি দুবার আইজি ব্যাজ অর্জন করেন। মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, আমেরিকা ও ইতালিতে বিবিধ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তিনি বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বের অংশ হিসেবে থাইল্যান্ড, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, মিশর, গায়ানা, গাম্বিয়া, তুরস্ক, বাহরাইন, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য পুলিশ কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের ‘পুলিশ এডভাইজার’ হিসাবে সিয়েরালিওন ও সুদানে দায়িত্ব পালন করেন। সুদান মিশনের কনটিনজেন্ট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বপালনের গৌরবের পাশাপাশি তিনি মিশনসমূহে দৃষ্টান্তমূলক চাকরির স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক’ লাভ করেন।
পুলিশ এবং কৃষি বিষয়ে বিভিন্ন প্রকাশনায় তার লেখা উল্লেখযোগ্য পাঠক স্বীকৃতি পেয়েছে। ব্যক্তি জীবনে তিনি মুনমুন ফারজানার সাথে দাম্পত্য সম্পর্কে আবদ্ধ। তার তিন পুত্র সন্তান রয়েছে।