রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম আদর্শ কলেজের পরিচালনা কমিটি গঠন কে কেন্দ্র করে বুধবার(৩ জুন) দুপক্ষের দ্বন্দ্বে হামলা চালিয়ে মোটরবাইক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, উপজেলার মনিগ্রাম আদর্শ মহাবিদ্যালয়ে পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে মনিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম এবং বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীর সাথে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। পরিচালনা কমিটির মেয়াদ পূর্তির আগেই ওই কলেজের কমিটির সভাপতি আক্কাছ আলীকে বাদ দিয়ে মনিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামকে সভাপতি করা হয়। এবিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডরাজশাহী বরাবর অভিযোগ করেন সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার(৩ জুন) তদন্তে আসেন রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন। দু’পক্ষের উপস্থিতিতে তদন্ত শেষ করে চলে যান শিক্ষা অফিসার।
মনিগ্রাম কলেজ থেকেকিছু দুরে উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মনির (শিক্ষক)এর বাড়ীর সীমানায় থাকা ৬টি মোটরবাইক ভাংচুর ও জানালা দরজায় আঘাত করা হয় বলে জানায় মঞ্জুুরুল ইসলাম। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ভাংচুরকৃত মোটরবাইক গুলো থানায় নিয়ে আসে।আক্কাছ আলী বলেন, আমি পরিচালনা কমিটির সভাপতি থাকার মেয়াদ ছিল এই বছরের এপ্রিল মাসের ২তারিখ পর্যন্ত। কিন্তু এই কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণের আগেই আমাকে বাদ দিয়ে নীয়মবর্হিভুত ভাবে চলতি বছরের ২২মার্চ নতুন কমিটি গঠন করে চেয়ারম্যান সাইফুল। আমি সেই কমিটির বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী বরাবর অভিযোগ করি।
সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (৩ জুন) রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার তদন্তে আসলে, সেখানে কলেজের অনিয়মের বিষয়ে উপস্থাপনা করা হয়। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত সেখানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই তদন্ত সম্পূর্ণ হয়। পরে আমি বাড়িতে এসে হামলার ঘটনা জানতে পারি। তবে বহিরাগত কিছু লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্রামের মধ্যে অবস্থান করছিল বলে শুনেছি। তা দেখে গ্রামের লোক তাদের ধাওয়া করলে তারা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। তবে কারা মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে তা আমার জানা নেই।
চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন,আক্কাছ আলী দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ওই কলেজে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের দাবির প্রেক্ষিতে বিধি মোতাবেক বোর্ড কর্তৃক সভাপতি মনোনীত হই। এই নিয়ে তদন্ত শেষে একটি মহল তার পক্ষের মঞ্জুরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।