মহামারী করোনার কারণে সর্বস্বান্ত হয়েছেন আগেই। আর তাই বেঁচে থাকার শেষ সম্বল হিসেবে অল্প কিছু বাঁশি নিয়ে চলে আসেন ফরিদপুর শহরে। এভাবে সপ্তাহে ২ দিন তিনি বিক্রি করেন বিভিন্ন রকমের বাঁশি। ফলে কিছুটা স্বাবলম্বী হওয়ার আশা করছেন তিনি।
লাগু মিয়ার জন্ম পার্শ্ববর্তী জেলা মাদারীপুরের রাজৈর এ। নবম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। অল্প বয়সেই সংসারের বোঝা কাঁধে নেন। ৩২ বছর ধরে তিনি বাঁশি বাজিয়ে ও বিক্রি করে চলছেন । ৫ জনের সংসারে একমাত্র এই বাশি বিক্রয়ই একমাত্র আয়ের উৎস।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন মহামারী করোনার কারণে অনেক বড় ধাক্কা লেগেছে তার। ধারদেনা করে লাখ খানিক টাকার যে বাঁশি তিনি তৈরি করেছিলেন তা বেশিরভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। এজন্য অল্প কিছু টাকা ধার করে কোনরকম ফুটপাতে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
সরকারি কোন সহযোগিতা পেলে তিনি ভাল ভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতেন। এজন্য তিনি সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।