• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
লাল শাক

লাল শাক 

শীতে বাজারে গেলেই টাটকা লাল শাক দেখে সব বাঙালিরই গরম ভাতের কথা মনে পড়ে। বড়ি দিয়ে হোক ,বাদাম দিয়ে কিংবা উপরে পোস্ত ছড়িয়ে লাল শাক ভাজা অত্য়ন্ত লোভনীয় খাবার। লাল শাকের মধ্য়ে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট সবই রয়েছে। এছাড়াও লাল শাক শরীরের রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে, কিডনির সমস্যা থেকে শুরু করে উন্নত দৃষ্টিশক্তি সবেতেই লাল শাকের ভূমিকা রয়েছে। যাঁরা মূলত ডায়েট করছেন তাঁরা অবশ্যই প্রায়ই খাবারের মেনুতে লাল শাক রাখতেই পারেন। এছাড়াও লাল শাকের আরও বিভিন্ন গুন রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় প্রতিদিন লাল শাক খাওয়া শুরু করলে শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি-এর ভারসাম্য় বজায় থাকে। এর ফলে রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে এই শীতেও কোনও রোগ আপনার ধারে কাছে আসতে পারবে না।


এছাড়া লাল শাকের আরও যা যা গুণ রয়েছে তা জেনে নেওয়া যাক…
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
প্রতিদিন লাল শাক খাওয়া শুরু করলে শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি-এর ঘাটতি দূর হবে। ফলে রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোন রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

ঠাণ্ডা জ্বরের চিকিৎসায়
ঠাণ্ডার কারণে যারা জ্বরে ভুগছেন, তারা এই ঘরোয়া পদ্ধতিটির সাহায্য নিতে পারেন। এক্ষেত্রে একটা প্যানে পরিমাণ মতো পানি নিয়ে তাতে এক মুঠো লাল শাক ফেলে দিন। তারপর পানি ফোটাতে শুরু করুন। যখন দেখবেন ফুটতে ফুটতে পানির পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেছে, তখন আঁচটা বন্ধ করে দিন। এরপর পানি ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে নিয়ে পান করুন। এমনভাবে কয়েকদিন করলেই দেখবেন জ্বর পালিয়েছে।

উন্নত দৃষ্টিশক্তি

লাল শাকে থাকা ভিটামিন সি রেটিনার ক্ষমতা বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা চোখে কম দেখেন বা পরিবারে গ্লুকোমার মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই লাল শাক খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই উপকার পাবেন।

হাড় মজবুত হয়
লাল শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন কে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার হাড় শক্তপোক্ত হয়ে উঠলে অস্টিওপরোসিস মতো হাড়ের রোগ যে আর ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

হার্ট ভালো থাকে
লাল শাকে থাকা ‘ফাইটোস্টেরল’ নামক একটি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর একদিকে যেমন ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে, তেমনি নানাবিধ হার্টের রোগের অ্যান্টিডোট হিসেবেও কাজ করে। সপ্তাহে কম করে ২-৩ দিন যদি লাল শাক খাওয়া যায়, তাহলে হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করে
লাল শাকে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অ্যানিমিয়া রোগীরা এই শাকটি খেতে পারেন। দুই আঁটি লাল শাককে পিষে রস সংগ্রহ করে তার সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে শরীরে কখনও রক্তের অভাব হবে না।

হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়

লাল শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বাওয়েল মুভমেন্ট যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদ-হজমের আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপও হ্রাস পায়।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

ডিসেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« নভেম্বর    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।