সদর উপজেলার কানাইপুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন ও পরীক্ষার ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়িতে পরীক্ষা নেওয়ার অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে যাবতীয় পাওনা আদায় করছে বিদ্যালয়টি। সরকারি নিয়ম অমান্য করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১৫শ। একাধিক অভিভাবক জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারি নিয়ম বাদ দিয়ে নিজেরাই নিয়ম করে স্কুল পরিচালনা করছেন।বিদ্যালয়ের অভিভাভক সুজন মোল্লা জানান,ছোট ব্যবসা করে সংসার চালাই করোনার কারনে তাও বন্ধ তারপরে স্কুলের এককালীন এত বেতন কিভাবে দেবো।বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ফোন করে পাওনাদি পরিশোধ করতে বলছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক ব্যাক্তি জানান, শিক্ষার্থীদের খাতা- প্রশ্ন বাড়িতে পাঠিয়ে পরীক্ষা নেয়া মানে নকলকেই উৎসাহিত করা।
বাড়িতে কোনো পরীক্ষা নেওয়া কিংবা বেতন আদায় সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা সরকারের উচ্চ মহল এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে জারি করা না হলেও ওই বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে টাকা আদায় করছে। করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি এবং পরীক্ষার ফি করায় বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান,করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকলেও আমরা নিয়মিত ভাবে অনলাইনে ক্লাস করিয়েছি সে কারনে আমরা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বেতন আদায় ও পরীক্ষার ফি নিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি।