• ঢাকা
  • রবিবার, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং
বোয়ালমারীতে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারে প্রভাবশালীদের বাধা

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে দোকান ঘর উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্হানীয় প্রশাসন এ সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করতে গেলে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে স্হানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। ওই মহলটি সরকারি জায়গা না ছেড়ে বরং প্রশাসনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের টোংরাইল গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কদমী নামে একটি খাল। কিছুদিন আগে খালটি পানি উন্নয়ন বোর্ড পুনঃখনন করে। দুই মাস আগে খাল খননের জন্য টোংরাইল ব্রীজের পাশে থাকা কয়েকটি অবৈধ দোকান উঠেয়ে দেয় প্রশাসন। খাল খননের কাজ শেষ হলে একটি স্বাথান্বেষী মহল ওই গ্রামের পুতুল রানী বিশ্বাসকে দিয়ে ৮-১০টি দোকান ঘর উত্তোলন করায়। এতে খাল খননের পূর্বে যারা ওই স্হানে দোকান দিয়ে ব্যবসা করছিল তারা বঞ্চিত হয়। এ নিয়ে স্হানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্হানীয়রা বিষয়টি নিয়ে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার্র কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় ইউএনও তদন্তের দায়িত্ব দেন রুপাপাত ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে। ওই কর্মকর্তা সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে খালের পাড়ের সরকারি জমি দখলের বিষয়টির সত্যতা পান। ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা অবৈধ দখল করা দোকানগুলি সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করলে পুতুল রানী বিশ্বাসের লোকজন তাঁকে লাঞ্চিত করে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ সরেজমিন তদন্ত গেলে অবৈধ দখলদারেরা তার সাথেও অসদাচরণ এবং সরকারি কাজে বাধা দান করে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম পুতুল রানীকে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার জন্য ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্হা নিতে নোটিশ প্রদান করলে স্বার্থান্বেষী মহলটি ইউএনও’র বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং বিভিন্ন স্হানে মিথ্যা, ভীত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে অপপ্রচার চালায়।

টোংরাইল গ্রামের বাসিন্দা নিতাই বিশ্বাস জানান, খালের পাড় অবৈধভাবে দখল করে দোকান ঘর তোলায় খালটি নানাভাবে দুষিত হচ্ছে। দোকানের পরিত্যক্ত পলিথিন, ময়লা আর্বজনা ফেলায় ভরাট হয়ে যাচ্ছিল খালটি। অবৈধ দোকান ঘরগুলো উচ্ছেদ না করলে ভবিষ্যতে খালটি পুনরায় ভরাট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রূপাপাত ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজিজার রহমান জানান, খালের জায়গা দখল করে পূর্বে যারা দোকান করছিল; খাল খননের সময় তাদের উচ্ছেদ করে দেয়া হয়। খাল খনন শেষে পুনরায় আরেকটি মহল অবৈধভাবে ওই জায়গা দখল করে। এ নিয়ে স্হানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ব্যবস্হা নেয়ার জন্য আমি অনুরোধ করেছি।

শনিবার বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঝোটন চন্দ জানান, সরকারি সম্পত্তি অবৈধদখলদার থেকে উদ্ধার করা আমাদের দায়িত্ব। যারা অবৈধভাবে দোকান ঘর উত্তোলন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, জায়গা উদ্ধারে করতে সরেজমিন গেলে স্হানীয় একটি মহল সরকারি কাজে বাধা দেয় এবং কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

সেপ্টেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« আগষ্ট    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।