ফরিদপুর অফিস
ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ.কে. আজাদ বলেছেন, ফরিদপুরের গেরদাতে আমি একটি ট্রেনিং সেন্টার খুলেছি সেখানে বিনা পয়সায় প্রশিক্ষন প্রদান করে এক থেকে তিন মাসের মধ্যে এ্যাপোয়েনমেন্ট লেটার দিয়ে চাকরীতে পাঠাচ্ছি। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ফরিদপুরে আমার আসনের বেকার যুবসমাজকে প্রশিক্ষিত করে ঘরে ঘরে চাকরীর নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ভাষানচর হামিদনগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পালনে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অম্বিকাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ চৌধুরী বারির সভাপতিত্বে এবং সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিন আহমেদ সোহানের সঞ্চালনায় ইউনিয়নের ৯ শত পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন করেন তিনি।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, ফরিদপুরে মানসম্মত শিক্ষা ব্যাবস্থা নিশ্চিতে আমি কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। বর্তমানে আমাদের ছেলে মেয়েদের সার্টিফিকেট শিক্ষার উপর গুরুত্ব বেশি দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবভিত্তিক শিক্ষার অভাব রয়েছে। আমি ফরিদপুরের উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষাবীদ ও জেলার প্রধানদের সাথে সভা করেছি। আমার আসনের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ শুরু করেছি। অভিভাবকরাও নিজেদের ছেলেমেয়েদের দিকে নজর রাখবেন, তারা কি করছে, কি শিখছে তা খেয়াল করবেন। শুধু শিক্ষক দিয়ে তাদের ছেড়ে দিবেন না।
তিনি এসময় বলেন, বছরে একবার বা দুবার এরকম ত্রান সহায়তা দিয়ে আপনাদের সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আপনারা আপনাদের সন্তানদের মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করেন, আমি আপনাদের প্রতিটা ঘরে ঘরে চাকরীর নিশ্চয়তা দেব। তখনই হবে আপনাদের প্রতি আমার স্থায়ী সহায়তা দেয়া। এতে আপনার সন্তান স্বাবলম্বী হবে, আপনার পরিবারটা স্বাবলম্বী হবে।
তিনি বলেন, বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরী নিশ্চয়তা দিতে গেরদা ইউনিয়নের পশরা গ্রামে ট্রেনিং সেন্টার করেছি। সেখানে বিনামূলে প্রশিক্ষন প্রদান করে হচ্ছে। তাদের যাতায়াত ভাড়াও আমরা দিচ্ছি, সাথে খাওয়া-দাওয়া ও থাকা ফ্রি। এক থেকে তিন মাসের মধ্যে চাকরী দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। আমি পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলা প্রতিটা ইউনিয়নে একটি করে ট্রেনিং সেন্টার করে দেব। তিনি বলেন, এই শহরের স্থায়ী উন্নয়নের জন্য আমি হাসপাতাল ও শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে কাজ শুরু করেছি। তাই আপনাদের সহযোগীতা চাই। আপনারা আপনাদের ছেলে মেয়েদের মান সম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। তখন আর চাকরী নিয়ে কাউকে ঢাকায় যেতে হবে না।
তিনি বলেন, আমি এমপি হবার পূর্বে এই শহরটা মাদক ও সন্ত্রাসের অভয়ারন্য ছিল। মানুষ সব সময় একটা আতঙ্কে দিন পার করতো। তারা আজ কোথায়? আমি এমপি হবার আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলাম মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত ফরিদপুর গড়বো, আমি তাই করেছি।
এদিন তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৫ হাজার ৪ শত পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন করেন। সকালে অম্বিকাপুর ইউনিয়নে ঈদ সামগ্রী বিতরন শেষে তিনি চরমাধবিদিয়া ইউনিয়নের চরবালুধুম এলাকায় ৯ শত পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন করেন। পরে সেখান থেকে তিনি নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ঈদ সামগী বিতরন করেন। এদিকে দুপুরে আলিয়াবাদ ইউনিয়নের গজারিয়া হাটে ঈদ সামগ্রী বিতরন শেষে কৈজুরী ইউনিয়নের আকন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ঈদ সামগ্রী বিতরন করেন। পরে বিকেলে তিনি কানাইপুর ইউনিয়নের কানাইপুর ইচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঈদ সামগ্রী বিতরন শেষে শহরের বদরপুর মারকাজ মসজিদে আসরের সালাদ আদায় করেন।
এসকল অনুষ্ঠানে এমপির সাথে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হক ভোলা মাস্টার, হা-মীম গ্রুপের পরিচালক বেলাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল বাতিন, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক মনিরুল হাসান মিঠু, যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনির, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মানোয়ার হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ নুসরাত তানিয়া, পৌর সাবেক কাউন্সিলর ও সামজাসেবক মাসুদা বেগম বুলু, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, মাচ্চর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ মুন্সি, কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন, চরমাধবিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তুহিনুর রহমান খোকন মন্ডল, আলিয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চ্যোরম্যান ওমর ফারুক ডাবুল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
#হাসানউজ্জামান ও রাশেদুল হাসান কাজল, ফরিদপুর।