• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা আওয়ামী লীগ সভাপতি’ ঝর্ণার বিয়ের কথা জানেন না বাবা-মা

বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি রিসোর্টে হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের সঙ্গে থাকা নারীর সঠিক পরিচয় পাওয়া গেছে। ওই নারীর নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা (২৭)। তারা আট ভাই-বোন। বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। জান্নাত আরা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রামের পাশের কুলধর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. অলিয়ার রহমান ওরফে পাগলা অলি মিয়ার মেয়ে। অলিয়ার রহমান গোপালপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সেনা সদস্য। মামুনুল হক ওই সময় নারীর নাম আমেনা তৈয়াবা বললেও তার নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের পর সারাদেশে শুরু হয় তোলপাড়। এ নিয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলাও ঝর্ণা-মামুন্নুল হক নাম এখন টপ অপ দা নামে আলোচনা সমালোচনা চলছে। তবে জান্নাত আরা ঝর্ণার আগে বিয়ে হয়েছে, সেই ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে, এ কথা সকলে জানলেও দ্বিতীয় বিয়ের কোনো খবরই জানেন না উপজেলাসহ গ্রামবাসী।

খবর পেয়ে গতকাল রবিবার সকালে সরেজমিনে জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবার গ্রামের বাড়িতে তার বাবা অলিয়ার রহমান ও গর্ভধরণী মাতা শিরীনা বেগমের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মেয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণার ১১ বছর বয়সে খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা এলাকার হাফেজ শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয়। এ দম্পত্তির ঘরে আব্দুর রহমান ও তামীম নামে দুইজন পুত্র সন্তান আছে। সন্তান দুটি তার বাবার বাড়ি খুলনায় থাকেন।

জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবা অলিয়ার রহমান জানান, আমার মেয়ের সাথে জামাতা শহিদুল ইসলামের পারিবারিক কলহের কারণে প্রায় তিন বছর আগে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। তারপর থেকে দুই বছর আগে আমরা পাত্র দেখে মেয়েকে বিবাহ করার কথা বললে, মেয়ে বলতো আমার বিয়ে হয়েছে। এ জন্য আমরা আর কোন পাত্র দেখিনি। তবে কার সাথে মেয়ে ঝর্ণার দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছে সে ব্যাপারে পরিবার জানেন না। জান্নাত আরা মাতা শিরীনা বেগম জানান, শুধু একবার ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে স্বামী মামুনুল হককে দেখিয়েছিলো কিন্তু আমরা বুঝতে পারেনি তিনি মাওলানা মামুনুল হক ছিলেন।

ঝর্ণার প্রথম স্বামী হাফেজ শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল্লাহর সাথে জান্নাত আরা ঝর্ণার পরিবারের কোন যোগাযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, ডিভোর্সের পরে তার সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ রাখিনি আমরা। এ কারণে পূর্বের স্বামী হাফেজ শহীদুল্লাহর সাথে যোগাযোগের কোন মাধ্যম না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

গোপালপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা বিল্লাল মোল্যা জানান, অলিয়ার রহমান একজন সাবেক সেনা সদস্য ও বীরমুক্তিযোদ্ধা। সে একজন ভদ্র মানুষ। বাজারে আসার সুবাদে অনেক কথা হয়। কিন্ত ছেলে-মেয়ের ব্যাপারে বেশি কিছু বলতে পারেননি তিনি।

আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আব্দুল মজিদ জানান, জান্নাত আরার বাবা অলিয়ার রহমান একজন সহজ সরল মানুষ। সে ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক সেনা সদস্য ও একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। মেয়েটির আগে বিয়ে হয়েছিলো। সে ঘরে দুটি ছেলে সন্তান আছে। পরের বিয়ের বিষয়টি আমরা জানি না।

রবিবার সকালে জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবার বাড়ি গোপালপুর ইউনিয়নের কুলধর গ্রাম পরিদর্শনকারী আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, আমি সকালে ওই গ্রামে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। জান্নাত আরার আগের বিয়ের বিষয়টি ও এ উপজেলার বাসিন্দা সেটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। সে ঘরে দুটি সন্তান আছে। তারা বাবার কাছে খুলনায় থাকে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।