বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি: এমনিতেই শীতকাল। তাও আবার মাঘের শেষের দিকের হাড় কাঁপানো শীত। এরমধ্যে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। আজ শুক্রবার দুপুরে যেমন তেমন সন্ধ্যার পর থেকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায় কখনো মুষলধারে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মাঘের শীতে এ রকম বৃষ্টির কারণে বোঝার উপায় নেই এটা শীতকাল নাকি বর্ষাকাল। আষাঢ়ের মতো এমন টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
অসময়ে যেভাবে শ্রাবণের মতো বর্ষণ হচ্ছে তাতে আলু, পেঁয়াজ, সরিষা, কলাইসহ শস্যের চরম ক্ষতি হবে এবং সবজি চাষিরাও ক্ষতির মুখে পড়বে বলে অনেকের ধারণা করছেন।
টানা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর রিকশাচালক, অটোচালক, ভ্যানচালকসহ নিম্নআয়ের লোকজন। গ্রামীণ সড়কে লোকজন নেই, তেমনি মহাসড়কেও স্বাভাবিকের চেয়ে যানবাহন চলাচল করছে কম। মানুষশূন্য হয়ে পড়েছে পৌর শহরের রাস্তাঘাট, প্রায় দোকানপাট বন্ধ। এছাড়া বৃষ্টি-বাতসের কারণে শীতের তীব্রতা বাড়ছে।
ময়না গ্রামের অটোভ্যানচালক রাজিব হোসেন বলেন, বৃষ্টির মধ্যেই অটো নিয়ে বের হয়েছিলাম। ফাঁকা রাস্তায় লোকজন নাই, খালী ভ্যান নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।
বোয়ালমারী পৌর সদরে প্রতিবন্ধী ভ্যানচালক জব্বার মিয়া বলেন, আমি বৃদ্ধ ও কুঁজো ভ্যানচালক হওয়ায় দিনের বেলায় যাত্রী বেশি পাইনা। এজন্য রাত থেকে ভোর পর্যন্ত দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের নিয়ে ভ্যান চালাই। এমনিই শীতকাল, আবার বাতাস-শীতের সাথে বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় যাত্রী নাই তাই চিন্তায় আছি। বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে বিদুৎ আসতেছে যাইতেছে এ কারণে বাড়ি বসে ভাবছি কবে আবার পরিবেশ স্বাভাবিক হবে।
এদিকে আলফাডাঙ্গার ঝাঁটিগ্রাম এলাকার পত্রিকাপ্রেমী মিয়া রাবিবুল জানান, সদর থেকে বৃষ্টির মধ্যে ভ্যানগাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি যেতে হচ্ছে। মানুষের সাথে যানবাহনও শূন্য হয়ে পড়েছে রাস্তা-ঘাট। প্রচন্ড শীতের সাথে বৃষ্টি-বাতাস হওয়ায় কর্মজীবী মানুষেরা জবুথবু হয়ে পড়েছে।
মাঘ মাসে এমন বৃষ্টি কোনোদিন দেখি নাই মন্তব্য করে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটায় বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী গ্রামের কৃষক নিশিকান্ত দাস বলেন, দুই চারদিন এ রকম বৃষ্টি থাকলে আলু ও চৈতালি ফসলের চরম ক্ষতি হয়ে যাবে।