মহেশখালীতে মৌসুমের ১ম কালবৈশাখীতে প্রচণ্ড ধুলিঝড়ের তাণ্ডব ও বজ্রপাতে ৩ যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
আজ শনিবার (৪ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টায় হঠাৎ শুরু হওয়া কালবৈশাখীতে লবণ মাঠে উৎপাদিত লবণ রক্ষা করতে গিয়ে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নে ২ জন ও বড় মহেশখালীর জাগিরা ঘোনায় ১ জন লবণ চাষী সহ মোট ৩ জন নিহত হয়েছে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামিরুল ইসলাম ও হোয়ানক ইউপি সদস্য নুরুল কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, আজ শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় হঠাৎ কালবৈশাখীর সাথে কুণ্ডলী আকারে শুরু হয় প্রচণ্ড ধুলিঝড়।
এসময় দমকা হাওয়ার সাথে প্রচণ্ড বজ্রপাত হতে থাকে।
এতে লবণ মাঠে উৎপাদিত স্তূপ করে রাখা লবণ বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে গিয়ে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নে ২ জন বজ্রাঘাতে মারা যায়।
তারা হচ্ছে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের বানিয়াকাটা গ্রামের মোহাম্মদ নেচার আহমদ প্রকাশ বান্ডুর পুত্র মো. জাহেদুল ইসলাম মানিক (১৭)। সে হোয়ানকের মগের ঘোনা লবণ মাঠে তার বাবার সাথে কাজ করা অবস্থায় বজ্রপাতে নিহত হয়।
অপরজন পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ধনিয়া কাটা এলাকার ছৈয়দুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২৫)। তিনি পেকুয়া থেকে মহেশখালীতে গিয়ে হোয়ানকের হেতালিয়া মৌজার আউন্যা ঘোনায় লবণ চাষ করছিলেন।
অপরদিকে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের জাগিরা ঘোনা গ্রামের জালাল আহমদের ছেলে মো. ফারুক (২৫) মারা যায় হেতালিয়া মৌজার কালাপাইন্যা ঘোনায় লবণ মাঠে।
লবণচাষীরা জানান, হঠাৎ করে সৃষ্ট কালবৈশাখী দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে মাঠে উৎপাদিত লবণের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে মাঠের প্রচুর লবণ।
উপজেলার মাতারবাড়ী, ধলঘাটা, কালারমার ছড়া, হোয়ানক, বড়মহেশখালী, কুতুবজোম ও পৌরসভার লবণচাষীদের মাঠের লবণ বৃষ্টির পানিতে ভেসে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে কালবৈশাখীর তান্ডবে বেশ কিছু কাঁচা বাড়ি, গাছপালা ও ঘেরাবেড়া ভেঙে গিয়ে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।