• ঢাকা
  • রবিবার, ১লা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলছে কুষ্টিয়া সদরের আলামপুর বালিয়াপাড়া দ্বিতীয় বৃহত্তম পশুহাট

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে করোনা মহামারীর এই দুঃসময়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর বালিয়াপাড়া পশু হাট কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চালিয়ে যাচ্ছেন হাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। উক্ত হাটে নেই কোন সামাজিক দূরত্ব, নেই কারোর মুখে মাক্স। ক্রেতা-বিক্রেতা ও পশু একসাথে গাদাগাদি করে চলছে বেচাকেনা।

সরোজমিনে আজ শনিবার উক্ত পশুহাটে গিয়ে লক্ষ করা গেছে এই সকল কর্মকাণ্ড, এই পশুহাট কে কেন্দ্র করে করোনা মহামারী ধারণ করতে সময় বেশিদিন লাগবে না খুব দ্রুত এই মহামারী ছড়িয়ে পড়বে আস পাশের গ্ৰাম গুলির মধ্যে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উক্ত গ্রাম গুলির মধ্যে এখন পর্যন্ত কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয় নাই, তবে এভাবে পশুহাট চলতে থাকলে উক্ত এলাকার আশপাশের গ্রামগুলোতে করোনার মহামারী আকার ধারণ করব বলে সাধারন বাসিন্দারা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
উক্ত এলাকার স্থায়ী বাসিন্দারা প্রতিবেদক এর কাছে জানিয়ে বলেন, এভাবে হাট মালিক যদি পশুহাট চালায় তাহলে এখানকার আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা কেউ আর রক্ষা পাবে না এই করোনার ভয়াল থাবা থেকে। তারা এটাও বলেন এটা কি এক শ্রেণী কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা। এই নিরবতার উদ্দেশ্য কি? টাকা না প্রভাবশালী হাট মালিকের ক্ষমতার কাছে তাদের ক্ষমতার নগণ্যতার পরিচয়। মানুষের জীবনের মূল্য কি পশু হাট ইজারাদার তা জানেন বোধ হয় তিনি জানেন না যদি জানতেন তাহলে এভাবে হাট পরিচালনা করতেন না।
এ বিষয়ে হাট মালিক কে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি। অন্য দিকে পুলিশ বাহিনীর কোন সদস্যকেও পশু হাটের মধ্যে বা বাইরে দেখা যায় নাই। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর একটাই দাবি মাননীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন কুষ্টিয়া জেলা কে বাঁচাতে হলে অচিরেই এই পশু হাটটি বন্ধ করা হোক। ইতিমধ্যে কুষ্টিয়া জেলাতে ১২ জন ব্যক্তি করোনায় মারা গিয়েছে এটা থেকেও আমাদেরকে শিক্ষা নিতে হবে যে, আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে পশু হাট চালুর কারণে আমাদের আশপাশের গ্রামগুলিতে ছড়িয়ে পড়বে এই ভয়াবহ করোনা।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

ডিসেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« নভেম্বর    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।