• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
দেশি ফলের গুনাগুণ

আম পাকা বা কাঁচা যা-ই খান না কেন, আমের রয়েছে নানাবিধ পুষ্টিগুণ। জনপ্রিয়তা ও স্বাদে অন্য ফল থেকে এগিয়ে থাকে আম। স্বাদ, পুষ্টি ও গন্ধে আম অতুলনীয়। এ দেশের প্রায় সব জেলাতেই আম হয়। অনুকূল আবহাওয়া ও উন্নত মাটি আম চাষের উপযোগী। তবে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর আম চাষের জন্য বিখ্যাত। পাকা আমে রয়েছে প্রচুর ক্যারোটিন। আম লিভার বা যকৃতের জন্য ভীষণ উপকারী। রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে কাঁচা ও পাকা আম অতুলনীয়। কাঁচা আম দিয়ে আমরা সাধারণ আম-তেল, আম ডাল, আমের আচার তৈরি করে খেয়ে থাকি। আমের গুণের কথা আমাদের অনেকেরই অজানা। পেট, ত্বক ও চুলের যতেœ আমের জুড়ি নেই। পুষ্টিবিদদের মতে, আমের শাঁস থেকে আঁটি পুরোটাতেই রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা। আম খেলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে। এছাড়া হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এই ফল। আমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন-সি ও ফাইবার, যা রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। আম শরীরের প্রোটিন অণুগুলো ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আমের আঁশে থাকা ভিটামিন-সি, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

 

আম বাটা মাখলেও ত্বকে রোমের মুখগুলো খুলে গিয়ে ত্বক পরিষ্কার থাকে। শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন-এ-এর চাহিদার প্রায় ২৫ শতাংশের জোগান দিতে পারে আম। তাই আম চোখের জন্যও উপকারী। ভিটামিন-এ চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি এবং রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে। আমে রয়েছে প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনোইডস। তাই আম খেলে আপনার ইমিউন সিস্টেমকে রাখবে সুস্থ ও সবল। আমে রয়েছে টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড, যা শরীরের ক্ষার ধরে রাখতে সাহায্য করে। আমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। শরীরে শক্তি জোগান দিতে আমের জুড়ি নেই।

 

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।