• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
ফরিদপুর ডিক্রিরচর তাইজদ্দিন মুন্সীর ডাঙ্গীতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী এলাকাবাসীর

নানা প্রতিকূলতা, নদী ভাঙ্গন, বন্যা, খড়া, শোষণ, নিপিড়নের ইতিহাসকে পেছনে ফেলে ফরিদপুর চরাঞ্চল আজ আলোকিত। কুপি, হেরিকেনের মৃদু আলো দূর করে সেখানে স্পর্শ করেছে সৌর বিদ্যুৎ। আরও আধুনিকতার স্পর্শ দিতে কাজ করছে পল্লী বিদ্যুৎ। বিভিন্ন গ্রামে তৈরী হয়েছে সড়ক। এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে সরকার। তারপরও দীর্ঘদিনের একক আধিপত্য, প্রথা, শোষণের তন্ত্র ভেঙ্গে দিয়ে দারিদ্রতা দূরকরণ ও মানুষের কর্মসংস্থানের আমুল পরিবর্তন এনেছেন যিনি তার নাম আলহাজ্ব খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি। তিনি এ চরের মানুষের শিক্ষা, পোষাক ও উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু এই চরের একটি বৃহত্তম অংশ তাইজদ্দিন মুন্সীর ডাঙ্গী। ইউনিয়নের এক ও দুই নং ওয়ার্ডের মধ্যে বিস্তৃত গ্রামটির এক অংশ ঘাট বন্দর এলাকায়, অপর অংশ পদ্মানদীর ঐ পাড়ে। ৫০০ পরিবারের প্রায় হাজারো শিশু-কিশোর স্কুলে যাতায়াত করে না ঝুঁকি নিয়ে। নৌকা, ট্রলারযোগে আসতে হয় সিএন্ডবি ঘাট স্কুলে। অন্যদিকে নদী পাড় হতে না চাইলে তাদের যেতে হয় প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের স্কুলে। এই গ্রামের সাধারণ মানুষ ও ছোট্ট ছোট্ট শিশু-কিশোররা উর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছে একটি বিদ্যালয়ের। সরজমিন পদ্মার চরে গিয়ে দেখা যায় বেশীর শিশু স্কুলে আসতে চায় না ঝুঁকির কারণে। কেউ কেউ স্কুলে এলেও তারা থাকেন নিরাপত্তাহীনতায়। অভিভাবকের দুঃশ্চিন্তার শেষ থাকে না। অন্য দিকে একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী কাজেম মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকায় ২০০ গজের মধ্যে প্রায় ৫/৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ১২৯নং কাজেম মাতুব্বর ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোতালেব জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাহের ফকিরের ডাঙ্গী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভূঁইয়া ডাঙ্গী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ছাবের মাতুব্বর ডাঙ্গীতেও স্কুল রয়েছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দূরত্ব প্রায় পার্শ্ববর্তী এলাকায়। অথচ যেখানে বিদ্যালয় প্রয়োজন সেখানেই নেই। এই বিষযে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির বলেন, এই চরে একটি বিদ্যালয় প্রয়োজন মানুষের দাবী দীর্ঘদিনের। অথচ একটি গ্রামে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেই তুলনায় শিক্ষার্থী নেই। ঐ গ্রামে কাজেম মাতুব্বর ডাঙ্গী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে ধীর গতিতে চলছে। বিদ্যালয়ের স্থানটি উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংলগ্ন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তাইজদ্দিন মুন্সীর ডাঙ্গীতে স্থানান্তর হতে পারে। আমি এলাকাবাসীর পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ করবো জমি প্রয়োজন হলে যে-কোন সময় আমরা দিতে পারবো। তারপরও এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে এলাকাবাসী কৃতজ্ঞ থাকবে। সেই সাথে শিশু-কিশোরদের শিক্ষা গ্রহণের যাতায়াতের ঝুঁকি কমবে। এই বিষয়ে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি শুনেছি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত যেনে ব্যবস্থা নিব।

তাইজদ্দিন মুন্সীর ডাঙ্গীর বাসিন্দা আলম খা বলেন আমি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য যত জমি লাগে দিব। তারপরও স্কুল গড়ে উঠুক। এক গ্রামে ৬/৭টি স্কুল আর এক গ্রামে নাই এটা কেমন কথা। একই গ্রামের শিশু চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাজিয়া, দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নাসরিন, সোহান, রাহিমসহ অনেক শিক্ষার্থী বলেন আমরা স্কুলে যেতে চাই। কিন্তু নদী পার হয়ে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় তাই ভালো লাগে না। তাছাড়া বর্ষায় প্রচুর ঢেউ পদ্মায় থাকায় মা-বাপে স্কুলের যেতে দিতে চায় না। আমরা দাবী করি আমাদের একটি স্কুল দেওয়া হোক।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

ডিসেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« নভেম্বর    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।