• ঢাকা
  • শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সক্রিয়

আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছে জেলা পুলিশ। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে জেলাব্যাপী চলছে পুলিশ বাহিনীর এই কার্যক্রম।

করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই তারা জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় অবস্থান করে করোনার বিরুদ্ধে সবচাইতে কার্যকর পদ্ধতি ‘সামাজিক দূরত্ব’ সৃষ্টিতে সহায়তা করে আসছে। মাদক উদ্ধার, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বিতভাবে করোনার সংক্রমণ রোধে আরো বেশকিছু কার্যক্রম পরিচালনা করছে জেলা পুলিশ।

মানুষ যেন অপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা না করে, কোথাও জমায়েত তৈরি না করে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় চেকপোস্ট পরিচালনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় টহল দেয়া এবং জনসচেতনতা তৈরির কাজ করে আসছে।

এ ছাড়াও জেলা পুলিশের সদস্যরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত এবং বিদেশ থেকে প্রত্যাগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহে সহায়তা ও সমন্বয় করছে। এমনকি দুস্থদের মাঝে খাদ্য সহায়তাও প্রদান করছে তারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। আর এ ঘোষণার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে রাস্তায় অবস্থান নেয় পুলিশ সদস্যরা।

করোনা মোকাবেলায় জেলায় প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসিয়ে অন্য জেলা থেকে আসা ব্যক্তিদের শারীরিক পরীক্ষা নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টায় দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। করোনা মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা রাখতে গিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের ৫ সদস্য আক্রান্ত হন। যাদের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়েছেন এবং দুজন চিকিৎসাধীন।

এ ছাড়াও জেলার ২৫ হাজার দুস্থ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব ও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করায় হচ্ছে এখন জরুরি। এটা নিশ্চিত হলে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে মানুষ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব বিপিএম পিপিএম (বার) জানান, পুলিশ কোয়ারেন্টাইন বাস্তবায়ন করতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে, অনেক মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জরুরি ত্রাণ ও খাবার পৌঁছে দিয়েছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রশাসনের সাথে বাজার নিয়ন্ত্রণ অভিযানে গেছে। এভাবে মানুষের সংস্পর্শে যেতে হয়েছে পুলিশকে।

পুলিশের ডিউটির ধরণটাই এরকম যে, মানুষের সংস্পর্শে না এসে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয় না। তিনি আরো বলেন, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পুলিশ নিজেদের সুরক্ষার চেয়ে জনগণের সুরক্ষার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েছে বলেই জেলায় ৫ পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছে। করোনার সংক্রমণ রোধে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগামিতেও পুলিশ সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করবে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি জিয়াউর রহমান পিপিএম জানান, পুলিশ সুপার আবদুর রকিব স্যারের নির্দেশনা মেনে ওসি তদন্ত কবির হোসেন, ওসি অপারেশন মিন্টু রহমানসহ থানার সকল অফিসারবৃন্দ করোনাকালে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সদর মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা তাদের বোনাসের টাকা থেকে ৫০০ পরিবারকে ঈদসামগ্রী দেয়া হয়েছে।

জনগণের সেবক বা বন্ধু হচ্ছে পুলিশ তা করোনাকালে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে ও দিচ্ছে পুলিশ। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃত দেহের গোসল থেকে শুরু করে দাফন কাফন পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা করছে। যে লাশ পরিবারের কেউ নেয় না, সে লাশ পুলিশ নিয়ে জানাযা, দাফন কাফনসহ সব করছে। সমাজের সূধী মহল পলিশের এসব কাজের জন্য স্বাধুবাদ জানাচ্ছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

অক্টোবর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« সেপ্টেম্বর    
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।