সুমন ভূঁইয়াঃ অতিরিক্ত বিল আসায় উদ্বিগ্ন হয়ে কোনো রকম সামাজিক দূরত্ব না মেনে সাভার আশুলিয়ায় বিদ্যুৎ অফিসে ছুটছেন গ্রাহকরা। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) সকালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ঢাকা-১ এর সাভার আশুলিয়ার শ্রীপুর জোনাল অফিসের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে গ্রাহকদের।
গ্রাহকদের অভিযোগ, রিডারদের খামখেয়ালি আর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারনে একদিকে বিদ্যুৎ বিল তিন-চার গুণ বেশি দিতে হচ্ছে অন্য দিকে বিলের কাগজ ঠিক করতে এসে শতশত গ্রাহক করোনা সংক্রমণের চরম ঝুঁকিতে পড়েছেন।
আব্দুস সাত্তার নামের এক গ্রাহক জানান, প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল আসে সর্বোচ্চ ১২শ টাকা, সেখানে শুধু মে মাসেই তাঁর বিদ্যুৎ বিল ২৫শ টাকা। অফিসে যোগাযোগ করলে তারা বিল কমিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, এজন্য তিনি দুই ঘন্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। করোনা ঝুঁকির মধ্যেও এমন বিপাকে পড়তে হবে, তা ভাবিনি।
আরো এক গ্রাহক বলেন, মে মাসের বিল কেন বেশি আসলো জানার জন্য অফিসে আসছি। অফিসের একজন বলল আপনারা বাহিরে দাঁড়ান কাগজ দেখে ঠিক করে দেয়া হবে। তারপর গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছে । আমরা কয়েক ঘন্টা ধরে বাহিরে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছি।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ঢাকা-১ শ্রীপুর জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, যেসব গ্রাহক বিগতমাসে বিল পরিশোধ করেছেন, কিন্তু বিলম্বে। তাঁদের বিল এমাসেও সার্ভার থেকে কাউন্ট হয়ে গেছে। এছাড়া বিল সংক্রান্তসহ গ্রাহকের যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা কাজ করছি।
এসময় তিনি আরও বলেন, করোনা সংক্রমন রোধে সচেতনতা মূলক বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। অত্র এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে, অফিসে যাতে গ্রাহকদের আসতে না হয়। সে জন্য নিজেরা গ্রামে গিয়ে বিদ্যুৎ বিল নিচ্ছি।