করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশ ইতালি, ব্রিটেন, স্পেন ও ফ্রান্স।
চীনের পরই প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে শুরু করে ইতালিতে। এখন পর্যন্ত (মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা) দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৭৯ জন মানুষের।
আর আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৩৮ জন।
এদিকে, করোনাভাইরাসের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে দীর্ঘ প্রায় দুই মাস ঘরবন্দি ছিলেন ইতালির জনগণ। এবার বন্দি দশা থেকে কাজে ফিরেছেন ইতালির ৪৫ লাখ মানুষ।
নির্মাণ শ্রমিকদের কাজের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সেই সাথে আত্মীয়স্বজনও পুনরায় একসাথে মিলিত হতে পারছেন।
বন্ধু-বান্ধবদের এখনও একত্র হতে নিষেধ করা হয়েছে। অধিকাংশ দোকানপাট ১৮ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকছে। আর স্কুল-কলেজ, সিনেমা হল এবং থিয়েটারগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধই থাকছে।
‘ফিরে আসতে পেরে ভালো লাগছে, তবে বিশ্ব বদলে গেছে’, রোমে একটি ছোট্ট খাবারের দোকানের শাটার তুলতে তুলতে বলছিলেন গিয়ানলুকা মারটুচি।
তিন বছর বয়সী নাতিকে নিয়ে রোমের বোরঘেস পার্কে হাঁটতে বের হওয়া মারিয়া এন্তোনিয়েটা গালুজ্জু বলছিলেন, গত আট সপ্তাহের মধ্যে তাদের প্রথম দেখা হল।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুসেপ কনটে বলেন, তার দেশ মহামারীর কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
ইতালির পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, তারা ধারণা করছেন, তাদের দেশের আরও প্রায় ১১ হাজার ৬০০ মানুষের করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে যাদের টেস্ট করা যায়নি। অথবা তাদের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়নি।
সোমবার ইতালির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেও লকডাউন যথেষ্ট শিথিল করেছে। ওহিও ও অন্য আরও বেশ কিছু অঙ্গরাজ্য তাদের ব্যবসায়ীক কর্মকাণ্ড সহজতর করেছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও নিহতের ঘটনা ঘটেছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১২ লাখ মানুষ এবং মারা গেছে ৬৮ হাজারের মতো।
এছাড়া স্পেন, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, নাইজেরিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইসরাইল ও লেবাননও কারখানা, নির্মাণ কাজ, পার্কগুলো খুলে দিয়েছে। সূত্র: রয়টার্স