ইন্টারনেট খাতে ভ্যাট জটিলতার সমাধান করতে এক মাসের আলটিমেটাম দিয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি। চলতি জুলাইয়ের মধ্যে যদি এর সমাধান করা না হয়, তাহলে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধের হুমকি দিয়েছে তারা।
শনিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ আলটিমেটাম দেয় আইএসপিএবি। করোনার মহামারীর এই সময়ে ভার্চুয়াল যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেটে মানুষের নির্ভরতা অনেক বেড়েছে। এ অবস্থায় ব্রডব্যান্ড সেবাদাতারা বন্ধের হুমকি দিল।
আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ভ্যাট জটিলতার সমাধান না হলে সীমিত আকারে সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। তবে কবে তা হবে নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি।
তিনি বলেন, জুলাই মাসের মধ্যে দাবি না মানা হলে সুবিধামতো সময়ে সারা দেশে ১-২ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখব। কবে কখন এই কর্মসূচি নেয়া হবে তা সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে। দাবি মানা না হলে ইন্টারনেট বন্ধের এ কর্মসূচি ধাপে ধাপে অর্থাৎ প্রতিমাসে বা সপ্তাহে সপ্তাহে চলমান থাকবে।
আমিনুল বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কর্মীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও বিল আদায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেলেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইন্টারনেটে ৫% ভ্যাট এবং ভ্যালু চেইনের অন্যান্য (আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএন) খাতে ১৫% আরোপিত ভ্যাট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ৫%ভ্যাট ইন্টারনেট গ্রাহক থেকে আদায় করে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো আর ১৫% ভ্যাট ভ্যালু চেইনের অন্যান্য খাত আইএসপিগুলো থেকে আদায় করে থাকে। ফলে ৫% ভ্যাট গ্রাহক থেকে আদায় করা হলেও আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএনকে ১৫% হারে ভ্যাট পরিশোধ করতে হচ্ছে। সবমিলে আইএসপিগুলোকে প্রায় ৩৫% ভ্যাট বাবদ খরচ দিতে হচ্ছে।
ভার্চুয়াল এই সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারনেটে ভ্যাট আরোপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আইএসপিএবির প্রস্তাব তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি।
একই সঙ্গে ইন্টারনেটের সব ক্ষেত্রে ৫% অথবা ০% হারে ভ্যাট আরোপে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে (ইন্টারনেট সেবায় ৫% ভ্যাট এবং ভ্যালু চেইনের অন্যান্য ১৫% ভ্যাট) জটিলতা নিরসন হবে বলে জানান আমিনুল।