• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
ঝিঙ্গা এর উপকারিতা ও ঔষধি গুণাগুণ

ফাইল ছবি

এটি লাউ, কুমড়া বা চিচিঙ্গার মতাে আকর্ষিযুক্ত বর্ষজীবী মৌসুমি লতানাে। উদ্ভিদ। সাধারণত মাচায় বা অন্য গাছকে আশ্রয় করে বেড়ে ওঠে। গাট থেকে নতুন কাও, পাতা বা ফুল বের হয়। পাঁচ কোণবিশিষ্ট পাতা গাঢ় সবুজ ও নরম লােমাবৃত। বোটা প্রায় ৫ সে. মি. ও পুংদও ১৫ সে. মি. পর্যন্ত লম্বা হয়, ফুল ৫ পাপড়িবিশিষ্ট। ঝিঙ্গা ফুল লাউ, কুমড়ার মতাে স্ত্রী-পুরুষ ভেদে দু’ রকমের হয়। ফুলের রঙ হালকা হলদে এবং এটি লাউ ফুলের মতাে সন্ধ্যার আগে ফোটে। সবুজ বর্ণের ফল বোটার দিক থেকে ক্রমশ মােটা ও শিৱ-তােলা। ফলের অভ্যন্তরস্থ প্রকোষ্ঠগুলাে যেন জাল বুনে তৈরি। ফল পাকলে সেটা দেখা যায়। এ প্রকোষ্ঠের মধ্যে অনেকগুলাে বীজ থাকে। বীজ ডিম্বাকৃতি ও চ্যাপ্টা। কচি ফল তরকারি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

বিস্তৃতি:
এ উপমহাদেশ ঝিঙ্গার আদি নিবাস। আমাদের বাংলাদেশে এটি সবজি হিসেবে প্রায় সব অঞ্চলে চাষ হয়। এ গণে প্রজাতির সংখ্যা ৬টি। ৭৫ সে. মি. চওড়া ও ৬০ সে. মি. গভীর মাদা তৈরি করে প্রতি মাদায় ১০ কেজি গােবর, ১৫০ গ্রাম টিএসপি, ৪০ গ্রাম এমপি প্রয়ােগ করে ৪/৫টি বীজ রােপণ করতে হবে। বীজ বপন করার আগে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখা প্রয়ােজন। বীজ বােনার ২ মাস পর থেকেই ফল দিতে শুরু করে। ফল পুষ্ট হলে খাওয়ার অযােগ্য হয়, তাই কচি অবস্থায় ফল সংগ্রহ করা উচিত । বীজের ওজন প্রতি কেজিতে ১০,০০০টি।

চাষপদ্ধতি:
ঝিঙ্গার পাকা বীজ সাধারণত মার্চ মাসে লাগানাে হয়। এবং বর্ষাকালে ফুল ও ফল হয়। দো-আঁশ মাটি ঝিঙ্গা চাষের উপযােগী। বিঙ্গা চাষের জমিতে যেন পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ঔষধি গুণাগুণ:
১| চোখের পিচুটি পড়া বা চোখ জুড়ে যেতে হামেশাই দেখা যায়। এক্ষেত্রে ঝিঙ্গার কচি পাতার রস নিয়ে প্রথমে গরম করে পরে ঠাণ্ডা হলে এর থেকে ২-১ ফোটা নিয়ে চোখে দিলে এটি আর থাকবে না।

২৷ কিডনি এবং হৃদরােগের কারণে শােথ ও মূত্রাল্পতা হলে ঝিঙ্গা পাতার রস ২ চা চামচ পরিমাণ ২ ঘণ্টা অন্তর ২ বার খেলে শােথ ও মূত্রাল্পত উপসর্গের উপশম হবে। তবে এক্ষেত্রে পাতার রস আধ কাপ পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াই উত্তম।

৩। অর্শ রােগীর সংখ্যা সমাজে কম নয়। কিন্তু এর ভালাে চিকিৎসা আজ অবধি আছে বলে জানা নেই। রক্তর্শে যারা ভুগছেন তারা কচি নয় এবং বুড়েও নয় এ ধরনের ঝিঙ্গা টুকরা করে কেটে শুকিয়ে গুঁড়া করে নেবেন এবং পরে পরিষ্কার ন্যাকড়া বা চালুনি দিয়ে চালের গুড়ার মতাে চেলে ঐ গুড়া থেকে প্রতি বারে ১ গ্রাম করে নিয়ে আধা কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন সকাল-বিকাল কিছুদিন খেলে উপকার পাবেন।

৪। ঝিঙ্গা বীজে fixed oil রয়েছে যা অম্লক্ষরণ রােধ করে (Ghani, 1909)। তাই যারা অম্বলের রােগী এবং কিছুদিন পরপর পেটে বায়ু, বমি বমি ভাব ও ক্ষুধামন্দায় ভােগেন, তারা ৩-৪টি পাকা ঝিঙ্গাবীজ বেটে এক কাপ পানিতে মিশিয়ে খাবেন। এতে বমনেচ্ছাও থাকবে না আর পেটের বায়ুও কমবে।

৫। অত্যধিক মানসিক চাপে রাতে ভালাে ঘুম না হওয়া ইত্যাদি কারণে অনেকের চোখের নিচে কালি পড়ে। এ অবস্থায় কিছুদিন টাটকা ঝিঙ্গাপাতার রস চোখের নিচে লাগালে কালাে দাগ দূর হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।