মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় সংঘর্ষে শীর্ষে থাকা আলোচিত সেই বড় খারদিয়া গ্রামে আবারও সংঘর্ষে অন্তত ১০ ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোববার ভোরে উপজেলার খারদিয়া গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
গ্রামবাসীরা জানান- স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে বড় খারদিয়া গ্রামের প্রভাবশালী বাসিন্দা যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মোল্যা সাথে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জেরে গত ৭ মাসে খারদিয়া গ্রামের বিভিন্ন সময়ের সংঘর্ষে মারিজ শিকদার, সিরাজুল ইসলাম ও আসাদ শেখ নামে ৩ যুবক নিহত হয়। ভাঙচুর করা হয় অন্তত ৫ শতাধিক বাড়িঘর। এসব হত্যা মামলায় উভয় নেতাই আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এরই মধ্যে রোববার ভোর ৬টার দিকে হঠাৎ আলমগীরের সমর্থক নজরুল শিকদারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করে রফিকের সমর্থকরা। পরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। প্রায় ঘন্টাবাপী চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আলমগীরের সমর্থক হোসেন শেখ (৩৫) নামে এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শেখ সাদিক বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
৫ জুন ২০২২