• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৯ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২৩শে মার্চ, ২০২৩ ইং
Mujib Borsho
Mujib Borsho
ফরিদপুরে জৈষ্ঠ্যের মধুমাসে দেখা মিললো জামের

সনতচক্রবর্ত্তী:ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাজারে বিক্রি হচ্ছে মধু মাসের ফল জাম। পুষ্টিকর ফল জাম আকার অনুযায়ী খুদি জাত এবং মহিষ জাত নামে দুই জাতের জাম পাওয়া যাচ্ছে। এই ফলটি প্রথমে সবুজ থাকে যা পরে গোলাপি হয় এবং পাকলে কালচে বেগুনি রঙ ধারণ করে। স্বাদে রয়েছে টক ও মিষ্টি।

জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টির পানি পড়া মাত্রই লাল বরণ হয়ে উঠে জাম গাছ। তারপর পরিপক্বতা আসে এক সঙ্গে। এক সঙ্গে পেকে যাওয়ায় খুব অল্প দিনই মেলে জামের শাখায় উঠে মুখ রঙিন করার সুযোগ। স্বল্পকালীন এই ফলটি তাই সকলের কাছেই বেশ লোভনীয়।

এক সময় ফরিদপুর অঞ্চলের বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে পথ-ঘাট, হাট-বাজার,রাস্তায় ও বিভিন্ন বাড়িতে ছিল জাম বাগানের সারি। কিন্তু মধুমাসের মৌসুমী বাজারে এখন তেমন কালো জাম দেখা যায় না। আর যা দেখা যায় চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

ফরিদপুর জেলার আটটি উপজেলা খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখনও চোখে পড়ে ছোট – বড় জাম গাছ। অনেক এলাকায় নুতন করে জাম গাছ লাগানো হচ্ছে । এসব গাছ থেকে প্রতিবছর বাণিজ্যিকভাবে কালো জাম বাজারজাত হচ্ছে।

বোয়ালমারী উপজেলার শিবপুর জাম বিক্রেতা এলাকায় হাসান বলেন, আমি সময় পেলে বিভিন্ন গাছ মালিকের কাছ থেকে জাম পেরে বাজারে বিক্রি করি। দাম জানতে চাইলে এক কেজি জামের দাম ১থেকে ২ শ টাকা বলে জানালেন তিনি।

বিশিষ্ট সাংবাদিক কামরুল শিকদার বলেন,
সম্প্রতিকালে জামগাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। আগে বিভিন্ন রাস্তায়, বাড়ির আঙ্গিনায়, পুকুর পাড়ে হর হামেশাই দেখা মিলতো জাম গাছের, কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এখন জাম গাছ রোপণ না করায় গাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে ।

যার ফলে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন ও নতুন করে জামগাছ না লাগানো ফলে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে স্বাদে অন্যন্য এ দেশি ফল হতে। বর্তমানে জামগাছ লাগিয়ে পুষ্টি গুনে ভরপুর এ ফলটি রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি বলে মনে করেন তিনি।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মার্চ ২০২৩
শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
« ফেব্রুয়ারি  
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।