জামালপুরের বকশীগঞ্জে টানা ৯ দিনের বন্যায় সাড়ে ৫ বিঘা জমির সবজির খেত তলিয়ে গেছে। বারে বারে বাড়ির সামনে থেকে ফসলের খেতের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন। ঋন করে সবজি চাষ করেছিলেন তিনি। কিন্তু আকস্মিক বন্যায় সব তলিয়ে গেছে। এখন খেতের দিকে তাকিয়ে নিরবে কান্না করেন হালিমা বেগম নামে এক নারী কৃষক। তার বাড়ি মেররুচর ইউনিয়নের পূর্ব কলকিহারা গ্রামে।
গত বছর অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য পেয়েছেন জয়িতা পুরস্কার। বরাবরের মত তিনি একজন সফল চাষী। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এবারও বাড়ির পাশে সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে শসা, করলা,বেগুন, পটল ও ঢেরস চাষ করেছিলেন। মোটামুটি ১০ দিন পরেই সবজি গুলো বিক্রি করা যেত। তার আগেই উজান থেকে পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণের কারণে মেরুরচর ইউনিয়ন , সাধুরপাড়া ইউনিয়ন, বগারচর ও নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে ৩৬ হাজার মানুষ।
দ্রুত গতিতে বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে রাতারাতি হালিমা বেগমের সবজি খেত পানির নিচে তলিয়ে যায়। টানা ৯ দিন ধরে তার সবজি খেত পানির নিচে রয়েছে। একারণে সবজির গাছ গুলো পচতে শুরু করেছে। ঋন করে সবজি চাষ করে সেই ফসল ঘরে তুলতে না পারায় হতাশায় পর্যদুস্ত হয়ে পড়েছেন নারী কৃষক হালিমা বেগম।
তিনি তার ডুবে যাওয়া ফসলের খেত বার বার দেখতে যান আর নিরবে কান্না করেন। ফসল হারিয়ে অসহায় অবস্’ায় জীবনযাপন করছেন হালিমা বেগম ও তার পরিবার।
পূর্ব কলকিহারা গ্রামের কৃষক হালিমা বেগমের সাথে কথা তিনি জানান, এবারের বন্যায় তার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। সামনের দিন গুলোতে তিনি ঘুরে দ্বাড়াতে উপজেলা কৃষি বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনা পেলে তিনি আবারও সবজি চাষ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।