সনতচক্রবর্ত্তী:পুরোহিতের মন্ত্রপাঠ, ঢাকের বাদ্য ও কামার ঘণ্টাসহ নানা আয়োজনে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না শতবর্ষ বারোয়ারী মন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শীতলাপূজা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সনাতন ধর্মমতে বা পঞ্জিকা অনুসারে বাংলার ২২ চৈত্র, ১৪২৮ এবং ইংরেজির ৫ এপ্রিল, মঙ্গলবার , ২০২২ তারিখে এই পুজো অনুষ্ঠিত
হয়।
আদ্যাশক্তি দেবী দুর্গার অবতার হিসাবে, তিনি পক্স, ঘা, ত্বক সম্পর্কি প্রভৃতি রোগ নিরাময় করেন এবং পিশাচ এর হাত থেকেও রক্ষা করেন। দোলযাত্রার পরবর্তী অষ্টমী তিথিতে দেবী শীতলার আরাধনা করা হয়। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাসানুসারে এই দেবীর প্রভাবেই মানুষ বসন্ত, প্রভৃতি চর্মরোগাক্রান্ত হয়। এই কারণেই গ্রাম বাংলায় বসন্ত রোগ মায়ের দয়া নামে অভিহিত হয়ে থাকে। ভক্তদের বিশ্বাস কলস থেকে তিনি আরোগ্য সূধা দান করেন এবং ঝাড়ু দ্বারা রোগাক্রান্তদের কষ্ট লাঘব করেন।
দক্ষিণ ভারতে দেবী শীতলার ভূমিকাটি অবতার মারিয়ম্মান বা মারিয়াত্থা নিয়েছেন, যাকে দ্রাবিড় ভাষী লোকেরা উপাসনা করেন। হরিয়ানা রাজ্যের গুড়গাঁওয়ে শীতলাকে কৃপী গুরু দ্রোণাচার্যের স্ত্রী বলে মনে করা হয় এবং গুড়গাঁওয়ের শীতলা মাতা মন্দিরে পুজো হয়ে থাকে। শীতলা পুজো উত্তর ভারতের অঞ্চলে ভীষণ ভাবে জনপ্রিয়। কিছু ক্ষেত্রে তাঁকে শিবের সঙ্গী পার্বতী বলেও চিহ্নিত করা হয়। শীতলাকে মাতা, মরশুমি দেবী হিসাবে সম্বোধন করা হয় এবং ঠাকুরানী, জগৎরানী, করুণাময়ী, মঙ্গলা, ভগবতী, দয়াময়ী নামেও অভিহিত করা হয়।
ময়না বারোয়ারী মন্দিরের আসা ভক্ত সুমন সরকারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন এই পুজার জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি।এই পুজাতে বোয়ালমারী উপজেলার ও আসে পাশের এলাকার ভক্তবৃন্দ উপস্থিত হয়।