সজ্ঞিব দাস, গলাচিপা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
অন্যের জমিতে কুড়ের ঘরে বসবাস করেন অসহায় হাফেজা বেগম। স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ওয়াবদার পাশে^ অন্যের জমি পাহারা দিয়ে চলছে তার সংসার জীবন।
আশেপাশে নেই কোন বাড়িঘর। ভয়ভীতি উপেক্ষা করে দিন ও রাত কাটাতে হয় তাদের। নেই কোনো ভূমি, ঘর বা মাথা গোঁজার ঠাঁই। তাই উচ্ছেদের ভয় মাথায় নিয়েই গত পনের বছর ধরে অন্যের জমিতে থাকছেন তারা। এমন হতাশাগ্রস্থ দুস্থ পরিবারের দেখা মিলেছে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের বাউরিয়া চারআনা গ্রামে।
আমখোলা ইউয়িনের বাউরিয়া চারআনা গ্রামে ওয়াবদার রাস্তার কোণায় কুড়ের ঘর তৈরি করে মা ও স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে অন্যের জমিতে বসবার করে আসছেন।
স্বামী মোঃ রিয়াজ মৃধা ইটের ভাটায় দিনমজুরের কাজ করেন। হাফেজা বেগমের দুইটি সন্তান রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ে । বড় ছেলে প্রথম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে এবং ছোট একটা মেয়ে আছে ২বছর বয়স।
হাফেজা বেগম ভূমিহীন স্বামী মোঃ রিয়াজ মৃধা বলেন, আমার বাবার কোনো জায়গাজমি ছিল না। ওয়াবদার রাস্তার এক কোনায় ছোট্ট একটা কুড়ের ঘর উঠিয়ে কোন রকম মা ও স্ত্রীসহ দুই সন্তানকে নিয়ে খুব কষ্টে বসবাস করি। তাই পরিবার নিয়ে মেঘ, বৃষ্টি, ঝড়, তুফানের সঙ্গে যুদ্ধ করেই পশুপাখির মতো বসবাস করতে হচ্ছে। দুর্যোগ আতঙ্কে এক মুহূর্তও শান্তিতে ঘুমাতে পারি না।
হাফেজা বেগম বলেন, আমি এক অসহায় পরিবারের মেয়ে। বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে অন্যের জায়গায় মিলেছে আমার ঠিকানা। আমাদের দেখার কেউ নেই। সরকারি কোনো সহায়তা পাইনি। শুনেছি যাদের জমি আছে ঘর নাই, ঘর আছে জমি নাই, তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী গৃহের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। আমার বাড়ি জমি কিছুই নেই। উপজেলা প্রশাসন আমাদের খোঁজ খবর নিয়ে গৃহের ব্যবস্থা করে দিলে সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারতাম।
আমখোলা ইউপি পেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়নে যেসব অসহায়, গরিব, দরিদ্র মানুষ আছে সকলের জন্য একটা তালিকা প্রনয়ন করা হবে। যাতে করে কোন গৃহ হীন লোক বাধ না যায়। আমরা সরজমিনে তদন্ত করে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উপহার সকলের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করবো ইনশোআল্লাহ।
এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, যারা গৃহহীন আছেন পর্যায় ক্রমে সকলেই প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘড় পাইবে তবে একটু সময় লাগবে। আমরা তদন্ত করে অবশ্যই যারা এখন পর্যন্ত ঘর পায়নি তাদের জন্য বিনা টাকায় ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।