কবির হোসেন, আলফাডাঙ্গা( ফরিদপুর) প্রতিনিধি
নতুন জাতের বাহুবলী টমেটো চাষ করে লাভবান হয়েছেন ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গায় কৃষক শাহাবুদ্দিন।উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর বাজার সংলগ্ন গ্রামে এ উন্নত জাতের টমেটো আবাদে পাচ্ছেন আশানুরূপ ফলন।
তিনি এ টমেটো আবাদ করে তাঁর ব্যয়ের তিন থেকে চারগুণ বেশি লাভের আশা করছেন। তিনি ৩০ শতক জমি লিজ নিয়ে এ জমিতে উচ্চমূল্য ও নিরাপদ সবজি উৎপাদন প্রদর্শনী প্লটে উন্নত বাহুবলী জাতের টমেটো আবাদ করেছেন।উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ টমেটো আবাদ করেন।
বিগত বছরে জমিতে বাহুবালী টমেটোর চারা রোপণ করেন তিনি। কৃষক শাহাবুদ্দিন ও তাঁর পরিচ্ছন্ন কর্মী সার্বিক পরিচর্যায় এবং উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা ও তদারকিতে চারা রোপণে পর নির্দিষ্ট সময়ে ফলন আসে।
প্রতিটি টমেটো গাছে টমেটো ধরেছে। ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে গাছের টমেটোগুলো খাবার উপযোগী হয়ে উঠে। সেই থেকে কৃষক শাহাবুদ্দিন প্রতি সপ্তাহে দুই দিন করে খেত থেকে টমেটো উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করে আসছেন। এ টমেটো চাষে খরচ প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা হলেও ইতিমধ্যে এক থেকে দেড় লাখ টাকা টমেটো বাজারে বিক্রি করেছেন কৃষক শাহাবুদ্দিন শেখ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষক শাহাবুদ্দিন খেত থেকে তার নিযুক্ত কর্মীদের নিয়ে টমেটো তুলছেন। গাছ থেকে টমেটো তুলে প্লাস্টিকের ক্যারেটে রাখা হচ্ছে। ওই দিন তাঁর খেত থেকে টমেটো তুলে প্লাস্টিকের ক্যারেটে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ক্যারেট ভর্তি টমেটো নিয়ে বাজারে বিক্রি করে আশানুরূপ অর্থ আয় করছেন তিনি
সার্বক্ষণিক পরিচ্ছন্ন কর্মী আজগর মোল্লা বলেন , আমি এক বিঘার এই টমেটোর ক্ষেতে কাজ করি, সকাল সন্ধ্যা কাজ করি, এখন প্রতিদিন ৪০-৫০ কেজি ফল আসে, সামনে আরও বেশি আসবে।
কৃষক শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি ১ বিঘা জমি লিজ নিয়ে টমেটোর আবাদ শুরু করেছি এখানে আমার৪০-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে আমি আশা করি ফলন ভালো হলে দুই লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারব। আমি কৃষি কাজ করি কৃষি কাজেই আমার সংসার চলে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ মতাবেক বিভিন্ন সবজির চাষ করে যাচ্ছি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, গোপালপুর ইউনিয়ন সংলগ্ন পিছনে আমাদের চাষি শাহাবুদ্দীন এবার ১ বিঘা জমিতে সাকাতা কোম্পানির বাহুবলি টমেটো চাষ করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস তাকে সকল প্রকার পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে, এই জাতের টমেটো ব্যাকটেরিয়াল উইল্ট ও পাতা কুকড়ানো রোগ সহনশীল এই জাতের ফলন বিঘা প্রতি ৪০-৪৫ টন। আমি আশাবাদী শাহাবুদ্দিন টমেটো চাষ করে লাভবান হবে এবং তাকে দেখে অন্য কৃষকরা উদ্ভুদ্ধ হয়ে এইরকম চাষে এগিয়ে আসবে সকলের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহা বলেন ,আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় শীতকালীন টমেটোর আগাম চাষ হচ্ছে। কোন ফসলের আগাম চাষ তার উচ্চমূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান করে। কৃষি অফিস আলফাডাঙ্গা কৃষকদের আগাম শীতকালীন টমেটো চাষের বিষয়ে সার্বিক পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি। এর মাধ্যমে আলফাডাঙ্গার কৃষিতে নব দিগন্তের সূচনা হবে বলে বিশ্বাস করি।
কবির হোসেন
০১৭১৬৪৫৫৮৩৬
তারিখ ৫ জানুয়ার ২০২৫