করোনায় চাপ কমাতে সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় ২ জন বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। অপেক্ষায় রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো আরও ৩৫ জন। মঙ্গলবার সন্দ্যায় তাদের মুক্ত করা হয় জেলা কারাগার থেকে।
পর্যায়ক্রমে গত ২ ও ৩ মে দুইজন লঘু সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি বন্দি ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগার কতৃপক্ষ।
মুক্তি প্রাপ্তরা হলেন ঠাকুরগাঁও সদরের ফকির পাড়া এলাকার বাসিন্দা “মোঃ পলাশ”। তিনি চুরির মামলায় ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। পরদিন মাদক মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত ঠাকুরগাঁও শহরের কলিবাড়ি এলাকার “সফিকুল ইসলাম দানি” মুক্তি লাভ করেন। তাদের মধ্যে পলাশ ৮ মাস ও মাদক মামলার সফিকুল ৪ মাসের সাজা ইতিমধ্যে ভোগ করেছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারের সুপার মোঃ জাবেদ মেহেদী জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা প্রথমে ৩১ জন ও পরে আরও ৬ জনের মুক্তির প্রস্তাব করে তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। প্রস্তাবিত তালিকার সবাই পুরুষ। প্রাথমিকভাবে সরকার কর্তৃক উল্লিখিত দুজন বন্দির অবশিষ্ট কারাদন্ড মওকুফ করা হয়েছে। পরবর্তীতে মুক্তির নির্দেশ প্রদান করে আরও কিছু বন্দির নাম আসতে পারে।
উল্লেখ্য যে, ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারের ধারণ ক্ষমতা সবমিলিয়ে ১৬৫ জন হলেও ৪ তারিখ সোমবার পর্যন্ত ১৩ জন মহিলা সহ সেখানে ৩৫২ জন বন্দি গণনা হয়েেেছ বলে জানিয়েছেন জেল সুপার মোঃ জাবেদ মেহেদী।