বিশ্ব মহামারি করোনা কবে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিবে তা কেউ জানে না। অনেক বিজ্ঞানীরাই বলছেন এই মরনঘাতী ভাইরাস কখনো সম্পূর্ন নির্মূল হবে না। তবে আমরা চাইলে সচেতনার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস নির্মূল করতে পারি।
আজকে জানবো এরকম পাঁচটি ভুল সম্পর্কে, যেগুলোর কারণে আমরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে থাকি।
করোনাভাইরাসকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা
আসলে করোনাভাইরাসকে অনেকেই খুব তুচ্ছ তাচ্ছিল্য বিষয় মনে করছেন। যেটা আপনার আর আশপাশের লোকদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমনটা ভাবার কারণে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি অনেককেই জীবন দিতে হচ্ছে। তাই, ভাইরাসকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন না, গুরুত্ব দিন। এজন্য সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেলে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই বাইরে যাওয়া
করোনাভাইরাসের সুরক্ষা সামগ্রী বলতে আমরা বুঝি মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং গ্লাভস, টিস্যু। আমরা অনেকেই মনে করি লকডাউন উঠে গেছে মানে নিরাপদ সময় এসে গেছে। কিংবা করোনা আমার শরীরে নেই এবং প্রবেশ করতে পারবে না। সেই বিশ্বাসে করোনাভাইরাস সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই আমরা যখন-তখন বাইরে যাচ্ছি। আর সেজন্য বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো, বাসার বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং টিস্যু পেপার সঙ্গে রাখবেন। আর মাস্ক তো অবশ্যই পরবেন।
কারণে-অকারণে ঘরের বাইরে যাওয়া
করোনার কারণে প্রায় তিন মাসের বেশি সময় লকডাউনে কাটানোর পর চতুর্দিকে যখন দোকানপাট, শপিংমল খুলেছে, ঠিক তখন কারণে-অকারণে অনেকেই শপিংয়ে যাচ্ছেন। যেটা করোনার ঝুঁকিতে ফেলছে নিজেকে, পরিবারকে এবং আশপাশের সবাইকে। তাই সতর্ক হোন এখনই, মেনে চলুন স্বাস্থ্যবিধি। প্রয়োজন হতে পারে তবে এক্ষেত্রে সংযম ধরে রাখুন।
বাইরের জিনিস স্পর্শ করায় সতর্ক না হওয়া
দেশে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার পরও অনেকেই বিরত নেই বাইরের জিনিস স্পর্শ করা থেকে। যেটা খুব সহজেই সংক্রামণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে আপনাকে। তাই বাইরে বের হয়ে কী স্পর্শ করছেন কিংবা কীসের সংস্পর্শে আসছেন, সেদিকেও নজর দেয়া জরুরি। বাইরে যে পরিমাণ মানুষ তাতে করে যেকোনো কিছু স্পর্শ করার আগে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
ভাইরাস সংক্রান্ত খবরকে প্রাধান্য দিবেন না
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। নিয়মিত এসব খবর দেখতে বা পড়তে থাকলে তা মানসিক চাপের জন্য যথেষ্ট। এসব থেকে রেহাই পেতে তাই অনেকেই করোনাভাইরাস সংক্রান্ত খবর এড়িয়ে চলা শুরু করেছেন। এটিও ঠিক নয়। কারণ কোন এলাকাগুলোতে ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি, কোথায় এখনও লকডাউন চলছে, সেদিকে নজর রাখাও জরুরি। তাই অল্প সময়ের মধ্যে আপডেট খবর জানার চেষ্টা করুন।